প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করছি।
সোমবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) সভাপতি স্টিফেন শ্নেকের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে হেয় করতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানকে এশিয়া ও বৈশ্বিক গণমাধ্যমে চরমপন্থী ইসলামিস্টদের অন্দোলন বলে চিত্রিত করার চেষ্টা চলছে। আমরা দেশের ১৭ কোটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি সাংবাদিকদের এসে সরেজমিনে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ইউনূস বলেন, যেকোনো সাংবিধানিক সংশোধন বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘু অধিকারকে সমর্থন করবে। ঐকমত্য গঠন কমিশন প্রস্তাবিত সংশোধন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করছে। সংখ্যালঘুরা অধিকাংশ মুসলিম জনসংখ্যা হিসেবে একই অধিকার ভোগ করতে থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করছি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যা দেশের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা এবং তাদের দীর্ঘকালীন নির্যাতনের কথা তুলে ধরতে ইউএসসিআইআরএফ-এর কাছ থেকে সমর্থন চেয়ে বলেন, তার অনুরোধ মেনে সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের এই সংকট সমাধান করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি, তত ভালো। রোহিঙ্গা শিবিরে বেড়ে উঠছে ক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম। আমাদের তাদের আশা দিতে হবে।
আবা/এসআর/২৫