ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী নদীর ভাঙনে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত

লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী নদীর ভাঙনে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত

লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ এলাকার মীরপাড়া সংলগ্ন টঙ্কাবতী নদীর বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ ফের মেরামত না করায় বিশাল জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকার লোকজন হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অতীতে এলাকাবাসী তাদের করুণ পরিণতির কথা সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেও এযাবত কোনো লাভ হয়নি বলে জানায় এলাকাবাসী। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় উক্ত স্থানের বেড়িবাঁধ তথা যাতায়াত সড়কটির কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়ে খালের গর্ভে বিলীন হয়েছে। ওই সময় বানের পানিতে স্থানটি তলিয়ে গিয়ে পুরো জনবসতি এলাকা প্লাবিত করে। এতে সংশ্লিষ্ট কূলবাসী ছাড়াও আশপাশের পাড়ার লোকজন ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এমনকি স্থানটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছিল। এখনও একই অবস্থায় রয়েছে। তাই আগামী বর্ষায় ভাঙন আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে কালযাপন করছেন মীরপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী তালুকদার পাড়া, মজুমদার পাড়া, মলিক ছোয়াং ও পার্শ্ববর্তী পদুয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকার জনবসতি লোকজন। আসন্ন বর্ষার করুণ পরিণতির আশঙ্কায় তারা সময় অতিবাহিত করছেন। গত বছরের বন্যার বানের পানিতে স্থানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্লাবিত এলাকার জনজীবন অসহায় হয়ে পড়েছিল। পানিবন্দি লোকজনের মানবেতর জীবনযাপনের হাহাকারে ওই সময় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছিল। এ কারণে বন্যা-পরবর্তী সময়ে প্লাবিত এলাকার লোকজন স্থানটি সংস্কারপূর্বক মেরামত করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে কাকুতি-মিনতি করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বর্তমানে এলাকাবাসী খালের ফের ভাঙ্গন আশঙ্কায় সময় কাটাচ্ছেন। ১১ মে বিকালে এলাকা পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী তাদের এহেন আশঙ্কার কথা উক্ত প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা গেছে উল্লেখিত স্থানের ভয়াবহ ভাঙ্গনের দৃশ্য। জরুরি ভিত্তিতে এ স্থান সংস্কারপূর্বক ফের মেরামত না করলে আসন্ন বর্ষায় বানের পানির ভয়াবহ প্লাবনে স্থানটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পুরো এলাকাকে লন্ডভন্ড করে তুলবে। পরিদর্শনকালে মীর পাড়ার বাসীন্দা ও আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহাব উদ্দীন জানান, উক্ত বিধ্বস্ত স্থানটি আগামী বর্ষায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভবনা বেশি। যদি বিচ্ছিন্ন হয় উল্লেখিত পাড়াসমূহ ছাড়াও বিশাল জনবসতি এলাকার লোকজন করুণ পরিণতির সম্মুখীন হবেন। অসংখ্য বাড়িঘর, বিস্তৃত ফসলি খেত, মাছভরা পুকুর ও যাতায়াত সড়কসমূহ প্লাবিত হয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন পানিবন্দি লোকজনের আহাজারী শোনার কেউ থাকবে না। পুরো এলাকার অনেক জনবসতির লোকজন হারিয়ে ফেলবে তাদের সহায়-সম্বল। তাই, তারা কালবিলম্ব না করে অতি জরুরি ভিত্তিতে বড় ধরনের সর্বনাশ না ঘটার পূর্বে স্থানটি সংস্কারপূর্বক ফের মেরামতের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে আমিরাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মুঠো ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, বিধ্বস্ত স্থানটি জনস্বার্থে জরুরিভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। অন্যথায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওই স্থানটি বিচ্ছিন্ন হয়ে লোকজনের বড় ধরনের সর্বনাশ ঘটাবে। তিনি এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শুভ দৃষ্টি কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত