ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মেছো বিড়াল সংরক্ষণে প্রচারাভিযান

মেছো বিড়াল সংরক্ষণে প্রচারাভিযান

জনগণ যদি হয় সচেতন, মেছো বিড়াল হবে সংরক্ষণ- প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী মেছো বিড়াল সংরক্ষণে প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে শরীয়তপুরের ৬ উপজেলায় লিফলেট বিতরণ, মাইকিং

ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলায় প্রচারাভিযানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মেছো বিড়াল বা ফিশিং ক্যাট বাংলাদেশের জলাভূমির একটি অন্যতম পরিবেশবান্ধব আকর্ষণীয় বন্যপ্রাণী।

কিন্তু জন সচেতনতার অভাবের কারণে সময়ের ঘূর্ণিপাকে এ প্রাণীটি আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। মেছো বিড়াল প্রধানত মাছ, ব্যাঙ, সাপ, পাখি, কাঁকড়া, পোকাণ্ডমাকড়, ইঁদুর, খরঘোশ, গুইসাপসহ ছোট ও মাঝারি আকারের অনেক প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে। ফসলের খেতে ইঁদুর দমনে এরা বিশেষ ভূমিকা পালন করা ছাড়াও বিশিরভাগ সময় মরা ও রোগাক্রান্ত মাছ খেয়ে জলাশয়ে মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণ, জলাভূমি খাদ্যশৃঙ্খল এবং জলাভূমিকে পরিষ্কার রেখে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই পরিবেশের এ বন্ধু প্রাণীটিকে রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। শরীয়তপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের অসচেতনতার ফলে মেছো বিড়ালকে অতিহিংস্র প্রাণী মনে করে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। তাই পরিবেশের বন্ধু এই প্রাণীটি রক্ষার উদ্যোগ নেয় বন অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। গত ৮ মার্চ কুষ্টিয়া জেলা থেকে শুরু করে এই প্রচারাভিযান আগামী জুনে যশোহর জেলায় গিয়ে শেষ হবে। আমরা আশা করছি, আমাদের এই প্রচারাভিযানের ফলে মেছো বিড়াল প্রজাতিটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। মেছো বিড়াল সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয়ের এই সময়ে প্রাণ-প্রকৃতি ফিরে পাবে সহায়ক পরিবেশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত