ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হাফেজ হাসানকে নোয়াখালীতে দাফন

হাফেজ হাসানকে নোয়াখালীতে দাফন

ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ৯ মাস চিকিৎসাধীন থেকে থাইল্যান্ডে মারা যান হাফেজ মোহাম্মদ হাসান। তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে নানার বাড়িতে। হাসানের চাচা সাদ্দাম দাবি করেন হাসানের দুই বোনের দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। তিনি আরও বলেন- হাসানের বাবা প্রায় ১৫ বছর আগে মারা গেলে দাদির সহযোগিতায় তারা আজকে এখানে এসে পৌঁছে। তবে এখন তাদের বাড়িঘরও নেই, নানার বাড়িতে মামার ঘরে বসবাস। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত অবস্থায় মারা যান তিনি। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চান তিনি। তিনি বলেন, হাসানের দুই বোন সুইটি ও সুমাইয়ার দায়িত্ব কে পালন করবে। আমি চা-পাতা বিক্রি করে পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করছি। তাছাড়া আমার মা আগে একটু ভালো ছিলেন, তিনি তাদের দেখাশোনা করতেন, এখন তিনিও অসুস্থ। গতকাল রোববার সকালে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চেউয়াখালি বাজার সংলগ্ন তরিকউল্যাহ সমাজ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। হাসানের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা শাখার আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগণ। জানাজার আগে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জাতিকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। শহিদ হাসানের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল স্মরণে রাখবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

জানাজায় জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, যারা শাহাদাত বরণ করেন, তারা আল্লাহর দরবারে সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্ত। শহিদ হাসান আমাদের গর্ব। তার রক্ত যেন আর কোনো ফ্যাসিস্ট শাসনের জন্ম না দেয়। গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ হাসান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত