কুষ্টিয়ায় অপহরণের একদিন পর অপহৃত সেই ব্যবসায়ী মো. জাহা বক্সকে (৩৮) বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে অপহরণকারীরা। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে মটরসাইকেলে দুইজন ব্যক্তি চোখ ও মুখ বেঁধে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় বলে পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তবে অপহরণের পর তাকে মারধর করা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় জাহা বক্সের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পরিবারের ভাষ্য, তিনি জীবিত ফিরে এসেছেন, এতেই তারা সন্তুষ্ট। তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। জাহা বক্স উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুস আলীর ছেলে। তিনি বাড়ির পাশেই প্রান্ত স্টোর নামের একটি পাইকারি মুদিদোকান চালাতেন। এরআগে গত রোববার রাত একটার দিকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ টাকাসহ জাহা বক্সকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে। অপহরণকারীরা চিঠিতে লিখে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পাঁচ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় টাকা না পৌঁছালে লাশ গুম করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
এঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আলী হায়দার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চরমপন্থি সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা দাবি করা আলী রেজা সিদ্দিক কালুর ভাই। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাহা বক্সের ছেলে প্রান্ত বলেন, বাবা ফিরে এসেছেন। রাত ১২টার দিকে আমাদের বাড়ির বারান্দায় কিছু একটা পড়ে যাবার শব্দ শুনতে পাই। বাইরে বেড়িয়ে দেখি অচেতন অবস্থায় বাবা পড়ে আছে। তার মুখ ও চোখ বাঁধা ছিল। পরে জানতে পারি দুইজন ব্যক্তি মটরসাইকেল করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে গেছে। বাবাকে মারধর করা হয়েছে। মাথায় একটু দাগ আছে। তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, জাহা বক্সকে উদ্ধার করতে পুলিশ, ডিবিসহ অন্যান্য বাহিনী ব্যাপক তৎপর ছিল। তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ। পুলিশের তত্ত্বাবধানে আছেন। সুস্থ হলে তাকে সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আটক হওয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিষয়ে ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও অভিযোগ রয়েছে। তাকেও অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানা হবে।