ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সরকার রাজস্ব নিলেও নির্দিষ্ট জায়গা নেই গরুর বাজারের

সরকার রাজস্ব নিলেও নির্দিষ্ট জায়গা নেই গরুর বাজারের

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকার রাজস্ব নিলেও নির্দিষ্ট জায়গা নেই গরুর বাজারের। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাসহ এলাকাবাসী। এই বাজার থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ টাকা সরকারি রাজস্ব খাতে জমা হলেও নির্দিষ্ট কোনো জায়গা দিতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা গরু বাজার নিয়ে জায়গা সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ প্রকাশ করেন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ইজারাদাররা।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে দীর্ঘ বছর ধরে সপ্তাহের প্রতি শনিবার হাট বসে। স্থানীয়দের কাছে এটি শনিবারের বাজার হিসেবেও বেশ পরিচিত। পাশাপাশি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখানে গরু-ছাগল ও মহিষ ক্রয়-বিক্রয় হয়ে আসছে।

কিন্তু নির্দিষ্ট ইজারা না দেওয়ায় এতোদিন সরকারি রাজস্ব খাতে কোনো অর্থ জমা হয়নি। তবে, গত বছর থেকে এ গরুর বাজারটি সরাকারিভাবে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। ফলে এখানে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ের পরিমাণ পূর্বের তুলনায় অনেকগুন বেড়ে গেছে। অথচ সরকারি খাতে রাজস্ব জমা হলেও গরু বাজারের জন্য দেওয়া হয়নি নির্দিষ্ট কোনো জায়গা। বাধ্য হয়ে বাজারে যাতায়তের প্রধান সড়ক ও তার পাশেই বসছে গরুর হাট। এতে একদিকে বিঘ্ন হচ্ছে গাড়ি চলাচল অপরদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও ইজারাদারসহ স্থানীয় গাড়ি চালকরা। বিক্রেতা সুমন বেপারী, ক্রেতা মুছা বিশ্বাস, মটরসাইকেল চালক মাসুম ও অটোচালক হালিমসহ আরও অনেকে জানান, এখানকার গরু বাজারের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় তাদের সবাইকে বিপাকে পরতে হচ্ছে। এ বাজারটি যেহেতু সরকারিভাবে ইজা নিয়ে রাজস্বখাতে টাকা দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে তাই এ বাজারের জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গা একান্ত প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

মুক্তিযোদ্ধা বাজার ইজারাদারের পক্ষে বিশ্বাস রাশেদ মোশাররাফ কল্লোল বলেন, এ বাজার থেকে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকারি রাজস্ব খাতে জমা দেন। বাজারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় তাদের চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে।

অতিদ্রুত গরু-ছাগলের বাজারের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, জনসুবিধার্থে বাজারের আয়তন বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। বাজারের নিকটবর্তী সরকারি জমি থাকলে তা বর্ধিত করবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত