ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নীলফামারীতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

নীলফামারীতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

নাবালিকার বিবাহ ঠেকাতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর এবং হেনস্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষিচাপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জঙ্গলী পাড়ায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ৬ জুলাই জঙ্গলী পাড়ার হরেন রায়ের ছেলে নিপেনের বিয়ের আশীর্বাদ অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সময়ে হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি নাবালিকা মেয়ে এসে উপস্থিত হয় প্রেমিকার দাবিতে। মেয়ে পক্ষ ঘটনাটি জানতে পেয়ে, ছেলের বাড়ি থেকে চলে যায় মেয়ে পক্ষ। তিনদিন ধরে না খেয়ে পরের বাড়িতে মেয়েটি পড়ে থাকে। সেখান থেকে সাংবাদিকদের খবর দিলে নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহ, গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক সোহেল রানা, স্বদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক নুরল আমিন ঘটনা স্থলে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে সরজমিনে জানতে পারেন ছেলের সঙ্গে মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই শুধু মোবাইলে একটা ম্যাসেজ করার কারণে একটা পক্ষ ওইপাড়ায় মেয়েটিকে ছেলের পাশের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। মেয়েটিকে ওই বাড়িওয়ালা রাখতে না চাইলে সাংবাদিক স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করান এবং সদর পুলিশকে ঘটনাটি জানান।

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলে সাংবাদিক স্বপ্না একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানকে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এবং সাংবাদিকরাসহ মেম্বার জগদিশের বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। সেখানেই উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান সাংবাদিক স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহকে গালিগালাজ এবং হুমকিধামকি দেন।

চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা নীরেন্দ্রনাথ রায়ের পুত্র শ্যামল রায় গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক সোহেল রানার হাতে থাকা ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহের গলায় পড়ানো সোনার চেইন হাতিয়ে নেন এবং ওড়না দিয়ে গলা চেপে ধরে। এই ঘটনা জানাজানি হলে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ইসলাম কালু, সাংবাদিকের মা জেলা মহিলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসরীন আকতার, জেলা এনপিসির সমন্বয়ক আক্তারুজ্জামান খান ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত