পাবনার সুজানগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টার দিকে সুজানগর বাজারের নন্দিতা সিনেমা হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ, বিএনপি কর্মী চর সুজানগরের সুজন আলী, শেখ মনজেদ আলী, চর ভবানীপুরের ইয়াকুব আলী, আলহাজ হোসেন, যুবদল কর্মী মানিক খা, চর ভবানীপুরের সবুজ খা, চর সুজানগরের আব্দুর রহমান, সুজানগর মাস্টার পাড়ার শাকিল খা, চর সুজানগরের রিয়াজ খান, টিক্কা খান (৬০), চরতারাপুরের কাচিপাড়ার তুষার, আসলাম ও মনজিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনে এক নারীর সঙ্গে কথা বলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খার অনুসারী আশিকের ফোন ভেঙে ফেলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ শেখের ভাতিজা ছাত্রদল নেতা কাউছার। এ নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে কাউছার ও আশিকের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষের কর্মী সর্মথকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে থামাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। সংঘর্ষে গুলিবৃদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে বিএনপি নেতা মজিবর খা ও আব্দুর রউফ শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওযা যায়নি।
তবে সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌফিক হাসান জানান, সংঘর্ষের ঘটনাটি দলীয় কোনো বিষয় নয়, আঞ্চলিক বা ব্যক্তিগত বিষয়। তবু, এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিন্দনীয়। দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।
সুজানগর থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে। তবে আসলে কী নিয়ে আজকের ঘটনা, এখনো পরিষ্কার নয় পুলিশ। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।