সাগরে নিখোঁজ আরেক চবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে শহরের নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল সৈকতে প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর আসিফ আহমেদ (২২) নামে ওই শিক্ষার্থীর লাশ ভেসে আসে। আসিফ বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
এর আগে, গত মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের অদূরে হিমছড়ি সৈকত এলাকায় সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেএম সাদমান রহমান সাবাব (২১) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ ভেসে আসে।
নিহত সাদমান ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কেএম আনিছুর রহমানের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে থাকতেন।
জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুব আলম লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকালে লাশ ভেসে আসার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, লাইফগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান (২২) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। সি-সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরে সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এ কারণে উদ্ধার অভিযানে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। হিমছড়ি থেকে নাজিরারটেক সৈকত পর্যন্ত নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, লঘুচাপের কারণে সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে।
এ সময়ে পর্যটকদের গোসলে নামতে নিরুৎসাহিত করে সৈকতের বিভিন্ন স্থানে একাধিক লাল নিশানা ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকেই গোসলে নেমে বিপদে পড়ছেন। সি-সেফের আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, হিমছড়ি সৈকতে একাধিক গুপ্তখালের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেখানে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ ও উদ্ধার তৎপরতাও নেই। নিহত শিক্ষার্থীরাও গুপ্ত খালে আটকা পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি।