
গাড়ি বিক্রির টাকা লেনদেনের ঘটনা গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগে চাঁদাবাজির অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে আফজাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার। গতকাল রোববার গাজীপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, আফজাল হোসেন নামে এক ব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে আমি চাঁদা নিয়েছি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।
বাস্তবতা হলো আফজাল আমার পূর্ব পরিচিত। ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই আফজাল হোসেন ঢাকার প্রগতি স্বরণিতে আমার ছেলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এমএস কার সাম্রাজ্য থেকে একটি নোহা গাড়ি ৪০ লাখ টাকায় কেনে। এ সময় জামানত হিসেবে ১০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক জামানত রাখে। পরে দুই মাস পর ১ অক্টোবর পূবালী ব্যাংক পিএলসি টঙ্গী ব্রাঞ্চ থেকে আফজাল হোসেন ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আমাকে টাকা দেয়। পরবর্তীতে বাকি টাকা ভেঙে ভেঙে কয়েক ধাপে আমাকে পরিশোধ করে। আফজাল হোসেন আমাকে পাওনা টাকা দেওয়ার সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ প্রণোদিত ও মিথ্যা। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এতেও ক্ষান্ত হয়নি চক্রান্তকারীরা কাশিমপুরে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি, আফজাল ও সাইফুল ইসলামের ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছ উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ¦ নিয়ে আমার কাছে আসলে আমি দুই পক্ষের সঙ্গে কথাবলে সমাধান করি সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রচার করা হয়।
এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন বাদী হয়ে গতকাল রোববার আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ ৫০ কোটি টাকা দাবি করে মানহানি মামলা করেন। এছাড়া তিনি আরও বলেন- আফজাল আসলে একজন আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। তিনি নিজেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগ নেতা হিসেবে নিজিকে পরিচয় দিতো। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়কসহ আরও অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পোস্টার রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে পুরো বিষয়টা একটা রাজনৈতিক কুট কৌশল। আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হেও করাই আসল উদ্দেশ।