
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নিহত ও আহত সহপাঠীদের ছবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যেসব সহপাঠীরা মারা গেছে তারা আর ফিরে আসবে না, আমরা আর কোনো সহপাঠীকে ডেঙ্গুতে হারাতে চাই না। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বক্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, একের পর এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এই মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে হবে। নারায়ণগঞ্জ শহরের লার্ভা উৎপাদনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র জিউস পুকুর। যা এক সময়ে একটি স্বচ্ছ পানির পুকুর ছিল। এখানে মানুষ গোসল করত, সাঁতার কাটত। অবহেলার কারণে তা একটি নোংরা ডোবাতে পরিণত হয়েছে যা এখন শহরে মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এ সময় ব্যানার- ফেস্টুন হাতে শিক্ষার্থীরা স্লোগান তোলে ‘জিউস পুকুর বাঁচাও, জীবন বাঁচাও।’ বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী জিউস পুকুরটি অবৈধ দখল ও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ জায়গাই এখন ডেঙ্গু বাহক এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে। শিক্ষকরা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এরইমধ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরকে ‘ডেঙ্গু রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এখন ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে অন্তত ২৫-৩০ জন বাসিন্দা ও শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তারা অবিলম্বে জিউস পুকুর পরিষ্কার ও পুনর্গঠনের দাবি জানান। কর্মসূচি শেষে এলাকাবাসীর পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল সিটি কর্পোরেশন প্রশাসকের কাছে পুকুরটি দ্রুত সংস্কার ও পরিষ্কার করার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন।