
ভোলার চরফ্যাশনে সামুদ্রিক মৎস্য আইন অমান্য করে মাছ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ার ঘটনায় ছয় নৌযান মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চরফ্যাশনের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দুলারহাট থানায় মামলাটি কনে।
আসামিরা হলেন- এফভি পাইয়োনিয়ার-২’র মালিক মো. সাইদ জুলফিকার মাহমুদ, এফভি মারজান-১র মালিক মিজান হাওলাদার, এফভি মদিনার মালিক ফারুক মাঝি, এফভি এনামুল হক-৩ ও এফভি হাফসানার মালিক শামসুল হক মাঝি, এফভি বিছমিল্লার মালিক সালাউদ্দিন মোল্লা। এর আগে ২৭ অক্টোবর বিকালে কোস্টগার্ড এবং মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের শুকনা খালি বাজার সংলগ্ন মায়া খাল থেকে উল্লেখিত ছয়টি নৌ-যান জব্দ করেন।
বর্তমানে এসব নৌ-যান স্থানীয় জনৈক আবুল কাশেম পন্ডিতের জিম্মায় রয়েছে। চরফ্যাশনের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু এসব নিশ্চিত করে আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সমুদ্রে এসব অবৈধ ট্রলিং বোটের মাধ্যমে জেলেদের জালে অবাধে ছোট বড় সবপ্রকার মাছ ধরা পড়ে। ধরা পড়া মাছের মধ্যে বড় মাছ রেখে ছোট মাছ মৃত অবস্থায় নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু পোনাসহ ছোট মাছ ধ্বংস হচ্ছে। যার পরিমাণ ধরা পড়া বড় মাছের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। এমনিতো এবার দেশের নদী ও সাগরে মাছের অকাল গেছে, এরমধ্যে অবৈধ এসব ট্রলিং বোটের মাধ্যমে সমুদ্রে ছোট মাছ নিধন বন্ধ করা না গেলে অচিরেই নদী ও সমুদ্র মাছ শুন্য হয়ে পড়বে।