
ঢাকার ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মোড়ারচর এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে হামলার শিকার হয়েছেন ব্যবসায়ী আলী হোসেন (৩৬)। এ হামলার ঘটনায় আলী হোসেনের ডান পা দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। আহতের স্ত্রী অঞ্জনা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে বাজার থেকে ফেরার পথে মোড়ারচর এলাকায় আওয়ালের চা ও মুদি দোকানের সামনে আলী হোসেনের পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত পরিকল্পিত হামলা চালায় আশিক, তৈয়ব, মামুন, মজিদ, শুকুর আলী, আজিজুল হক, রেজাউলসহ সানু মিয়া ও আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাত হামলাকারী। তারা প্রথমে আলী হোসেনকে রিকশা থেকে টেনে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
হামলার সময় আসামি আশিক ধারালো চাপাতি দিয়ে তার ডান পায়ে গিরার নিচে কোপ মারলে পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আসামি তৈয়ব লোহার রড দিয়ে বাম পায়ে হাড়ভাঙা জখম করে, আসামি মামুন মাথা, বুক ও পিঠে রড দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। আসামি শুকুর আলী শ্বাসরোধ করতে গলায় চাপ দেয়। একপর্যায়ে আলী হোসেন রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। আলি হোসেনের আর্তচিৎকারে স্ত্রী ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে আলী হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে ২২ মে একই বিবাদীদের হামলার শিকার হয়ে আলী হোসেন থানায় মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় এরই মধ্যে দুই আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাকি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে আলী হোসেনের পরিবারকে হত্যা ও অপহরণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। ভুক্তভোগী আলী হোসেন বলেন, জমি নিয়ে পাঁচ টা মামলা ছিল কোর্টে।
সব গুলা মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসে। এর পরই পরিকল্পনা করে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে পূর্বেও। আর এবার যেমন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পা কুপিয়ে দ্বিখণ্ডিত করেছে। আমিসহ আমার ভাইদের পরিবারের কেউই বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।