
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার উত্তর হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. দুলাল মিয়া। তিনি অসময়ে ব্ল্যাক বেবি জাতের কালো রঙের তরমুজ চাষ করে বাজিমাত করেছে। মাচায় মাচায় ঝুলছে কালো রঙের তরমুজ। ফলন ভালো হয়েছে। দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। আর খেতেও রসালো ও সুস্বাদু এই তরমুজ। বাড়ির পেছনের প্রায় ২০ শতক জমিতে চাষকৃত তরমুজ বিক্রি করে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। উত্তর হাফিজপুর গ্রামে ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে প্রায় ৬০০ গাছে ঝুলছে কালো রঙের শত শত তরমুজ। ছোট-বড় তরমুজে নুয়ে পড়েছে মাচা। দেখতে যেন কালোর সমারোহ। মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। পোকা দমনে ব্যবহার হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ। তাতে কীটনাশক তেমন একটা ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এ তরমুজ চাষ দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। কয়েক বছর ধরে বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শ গ্রহণ করে তরমুজের চাষ করছেন কৃষক মো. দুলাল মিয়া।
কৃষক মো. দুলাল মিয়া জানান- এ বছর তিনি প্রায় ২০ শতক জমিতে ব্ল্যাক বেবী জাতের তরমুজ চারা রোপণের জন্য কিছুদূর পরপর তৈরি করেন বেড। ওই বেডে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর বীজ রোপণের স্থানে ফুটো করে তা রোপণ করেন। বীজের চারা গজালে বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরি করেন। বাঁশের খুঁটি দিয়ে মাচায় চারা তুলে দেন। এভাবেই তিনি খেত প্রস্তুত করেছেন বলে জানান। তিনি জানান, তরমুজ চাষে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমান বাজারে কালো রঙের তরমুজের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সে হিসেবে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। তরমুজ চাষে সার্বিকভাবে পরামর্শ প্রদান করায় তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন- এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ণ প্রকল্পের আওতায় মাচায় তরমুজ প্রদর্শনী করেন কৃষক মো. দুলাল মিয়া। তিনি তরমুজ আবাদ করে সফল।