
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মাটির নমুনা বিশ্লেষণ পূর্বক ধরন অনুযায়ী পরিমিত সার ব্যবহার বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর জেলার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার ৫০ জন কৃষককে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে মৃত্তিকা নমুনা বিশ্লেষণপূর্বক প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। ফরিদপুর জেলার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট গবেষণাগারের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার মধুমতি জাজিরা উপজেলা পরিষদ মিলনাতনে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাম মো. কিবরিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরিক্ষাগার মধুমতির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মামুন হাওলাদার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুকসহ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। প্রশিক্ষণে মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা, সারের মাত্রা ও ভেজাল সার চিহ্নিতকরণসহ নিরাপদ ফসল উৎপাদন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষকদের মাঝে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. কিবরিয়া বলেন, মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সারের পরিমাণ কম লাগে। এতে যেমন কৃষকের অর্থের সাশ্রয় হয় অন্যদিকে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মাটির স্বাস্থ রক্ষা পেলে পরিবেশের ওপরও এর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের এই সময়ে তাই মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারিত মাত্রার সার প্রয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। সারা দেশে মৃত্তিকা গবেষণাগার রবি মৌসুমণ্ড২০২৫ এ ৬৪টি জেলার ৬৪টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগারের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জন কৃষকের নামমাত্র মূল্যে মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ও ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রান্তিক পর্যায়েও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।