গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা আমাদের আসন অফার করেছিল, টাকা অফার করেছিল। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোষ করিনি। আমরা ২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না। দেশের প্রয়োজনে জোট হলে তা হবে ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতে।
গতকাল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে দলীয় প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিতে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম নজুকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
নুরুল হক নূর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও প্রায় চূড়ান্ত। ‘১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসাজনিত পরিস্থিতিতে কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হলে নির্বাচন পিছাতে পারে, এটি সরকার ও কমিশন বিবেচনা করতে পারে। তবে অন্যথায় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক আর এপ্রিলে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনেই এককভাবে প্রার্থী দেবে। কিছু রাজনৈতিক নেতাদের আচরণ নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেখতে পাই, কিছু নেতারা পুরোনও ফ্যাসিস্টদের মতো হুমকি-ধামকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি কায়েম করতে চাইছে। তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তেই চুরমার হয়েছে। জনগণের প্রতিরোধে যে যেভাবে পেরেছে পালিয়ে গেছে। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের পরিণতিও একই হবে।
নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সম্পাদক মো. কাইয়ূমসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।
