নগর ভবনে প্রথমবারের মতো একটি সভা করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সভার ব্যানারে ইশরাক হোসেনের নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন’ লেখা ছিল। গতকাল সোমবার নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে এ সভা করেন তিনি।
সভা সূত্রে জানা গেছে, নগর ভবনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। পরিচ্ছন্ন ঢাকা ও নাগরিকসেবা নিশ্চিতকল্পে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইশরাক হোসেন। সভায় ইশরাক হোসনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করতে দেখা গেছে কয়েকজনকে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই আন্দোলন চললেও নাগরিকসেবা চলমান ছিল। জনগণের দুর্ভোগ যেন চরম আকারে না হয়, সে চেষ্টা আছে।
মশক নিধন কার্যক্রম চালু রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (১৭ জুন) ৭০টিরও বেশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ওয়ার্ড সচিববের মাধ্যমে জন্ম, মৃত্যু ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেট কার্যক্রম চালু রাখার ব্যবস্থা করা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের। এছাড়া আগামী পরশুদিন (বুধবার) ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণসহ সব স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’
গেজেট প্রকাশের পর থেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক অবৈধ মন্তব্য করে ইশরাক বলেন, আইনের মাধ্যমে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে আমি নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি আমার সঙ্গে।
ইশরাককে মেয়রের শপথ পড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই : উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের শপথ পড়ানোর ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। ডিএসসিসির নগর ভবন তালাবদ্ধ করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল আসিফ মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দেওয়ার আর কোনো আইনি সুযোগ নেই। উপদেষ্টা বলেন, ডিএসসিসির মেয়রের শপথ পড়ানোর আইনগত কোনো সুযোগ না থাকলেও ইশরাক হোসেন ক্ষমতা প্রদর্শন করে নগর ভবন দখল করে রেখেছেন। এজন্য দক্ষিণ ঢাকার দৈনন্দিন নাগরিক সেবায় বিঘ্ন ঘটানো দায়িত্বহীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর।