সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে পুলিশি বাধা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে জুলাইয়ের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা একযোগে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ সারাদেশের সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে দাবি আদায়ের শপথ নেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। মিছিল নিয়ে তারা মাস্টারদা সূর্য সেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের গেট হয়ে ভিসি চত্বর, টিএসসির রাজু ভাস্কর্য ঘুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে নতুন করে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অনলাইনে কোটাবিরোধী প্রচারণা, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ট্রেন থামিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে যেতে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা যেন আন্দোলনে না যেতে পারেন, সেজন্য একাধিক হলে তালা দিয়ে পাহারা বসায় সংগঠনটির নেতারা। একই দিন বরিশালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আন্দোলনরত তিন শিক্ষার্থী আহত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে আলাদা মিছিল নিয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে সম্মিলিত মিছিল নিয়ে হলপাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি হয়ে দুপুর সোয়া ১২টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় তারা ‘সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে ফার্মগেট-শাহবাগ,শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ-সায়েন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে গাড়ি ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যান। তবে, অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য জায়গা করে দেন শিক্ষার্থীরা। বিকাল ৬টার দিকে কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ চত্বর ছাড়েন আন্দোলনকারীরা। এসময় আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, সরকার, শিক্ষক, শিক্ষার্থী কেউই কোটা চায় না। তাহলে কোন অদৃশ্য শক্তি এই কোটা চায়। নির্বাহী বিভাগ আমাদের আদালতের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আদালতের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন নয়। আমরা চাই জনপ্রশাসন বিভাগ এই সমস্যার সমাধান করুক। আন্দোলনে যেতে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বিজয় একাত্তর হল ও জহুরুল হক হল গেটে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হলের শিক্ষার্থীরা যেন কোটা আন্দোলনে যেতে না পারেন সেজন্য সূর্যসেন হলের গেটে তালা লাগানো হয়। এছাড়া জসিম উদ্দিন হলের চারতলায় আটকে রাখা হয় কিছু শিক্ষার্থীকে। হলে কোটা আন্দোলনকারীরা প্রচারণা করতে গেলে তাদের বের করে দেওয়া হয়। রাকিবুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে যেন শিক্ষার্থীরা না যেতে পারেন, সেজন্য হল গেটে তালা মারা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সদরঘাটগামী সড়কের আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সেখানে ১ ঘণ্টা অবস্থান নেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব মোড় অবরোধ করেন। এসময় গুলিস্তান ও বাবুবাজার থেকে সদরঘাট ও যাত্রাবাড়ীগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে শিক্ষার্থীরা আধা ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী নানা স্লোগান দেন। শিক্ষার্থী জসীম উদ্দীন বলেন, যতদিন আমাদের দাবি না মানা হয়, ততদিন আমরা রাজপথে আছি, থাকব।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকসংলগ্ন আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে মিরপুর-ফার্মগেট এবং মহাখালী-শিশুমেলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই রুটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর দেড়টায় অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল ফের স্বাভাবিক হতে থাকে। এর আগে, সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হয়ে আগারগাঁও মোড়ে যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে দুদিকে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও রোগীবাহী গাড়ি ছেড়ে দিতে দেখা যায়। এর আগে বেলা ১১টায় চবির শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা। আন্দোলনের শুরু থেকেই বৃষ্টি হানা দেয়। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখপাত্র ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, দাবি কিভাবে আদায় করতে হয় তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পরিবহণ শ্রমিকরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আবাসিক হল ও মেসের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হন। পরে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্বরোড অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে তারা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। পরে ময়নামতি জাদুঘরসংলগ্ন সড়ক দিয়ে কোটবাড়ি বিশ্বরোডে অবস্থান নেন তারা।
বরিশালে ছাত্রলীগের হামলায় আহত ৩: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুইপাশে অন্তত পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। বিকাল সাড়ে ৪টায় শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরাতে ঘটনাস্থলে যান ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম। শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহারে রাজি না হয়ে জানান, দেশব্যাপী চলমান এ আন্দোলন এক সঙ্গে প্রত্যাহার হবে। এরপর উপাচার্য ও প্রক্টর চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের এক নেতা মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ৩০-৪০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এসে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় শিক্ষার্থীদের চড়-ঘুসি দেয় ববি ছাত্রলীগ নেতা আবুল খায়ের আরাফাত ও আল সামাদ শান্ত। এতে শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম ও আবু ওবায়দাসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
দুই ঘণ্টা ট্রেন আটকে রাখেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা: বেলা ১২টায় বিভিন্ন হল থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি কেআর মার্কেট হয়ে পুনরায় মুক্তমঞ্চের সামনে দিয়ে এসে আব্দুল জব্বার মোড়ে শেষ হয়। এ সময় ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসছিল। শিক্ষার্থীরা ট্রেনটি অবরোধ করে। প্রায় ২ ঘণ্টা (১টা ১০ থেকে ৩টা ১০) ধরে ট্রেনটি আটকে রাখেন তারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা। এতে সড়কের উভয় লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বহাল রাখায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: বেলা পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক ২০ মিনিট অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে অবস্থান নেন তারা। এসময় তারা কোটা সংস্কারসহ চার দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে নগরীর জিরো পয়েন্ট অবরোধ করেন। এ সময় কোটাবিরোধী নানা স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। অবরোধের ফলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জিরো পয়েন্টের চারপাশে খুলনা-ঢাকা, খুলনা-যশোর, খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজটে চরম বিপাকে পড়েন দূরপাল্লার যানবাহনের যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম, ইংরেজি বিভাগের হাসনাত আব্দুল্লাহ, রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, মোহাম্মদ মাহিন, আব্দুল হান্নান মাসউদ, রাশিদুল ইসলাম রিফাত প্রমুখ। নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, ২০১৮ সালে নির্বাহী বিভাগ পরিপত্রের মাধ্যমে কোটা বাতিল করল। বিচার বিভাগ দিয়ে কোটা আবার পুনবর্হাল করা হলো। এটা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন। এটা রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে সমন্বয়হীনতার উদাহরণ। নির্বাহী বিভাগ আদেশ দিচ্ছে তো বিচার বিভাগ বাতিল করছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্তঃদ্বন্দ্বে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক নেই। নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করুক, এটাই আমরা চাই।