ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গণভোট ঘিরে উত্তাল রাজনীতি

‘বিএনপির জন্ম হ্যাঁ ভোটে, মৃত্যু হবে না ভোটে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনীতির মাঠ ততই উত্তপ্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়ন ঘিরে গণভোটের দাবিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক’ বলে দাবি করেছে বিএনপি। অন্যদিকে, সনদ বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন চাইছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির দাবি, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক সমঝোতা এবং সনদের জনগণসমর্থিত রূপরেখা বাস্তবায়ন ছাড়া জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। এদিকে, তারুণ্যনির্ভর এনসিপি আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলটির মতে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে দেশে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। এনসিপির মতে, সনদটি কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য নয়, বরং এটি দেশের ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক কাঠামো ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বহন করে।
‘বিএনপির জন্ম হ্যাঁ ভোটে, মৃত্যু হবে না ভোটে’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিল ‘হ্যাঁ’ ভোটের মাধ্যমে। এবার ‘না’ ভোটে স্ট্রিক্ট থাকলে দলটির মৃত্যু হবে ‘না’ ভোটের মধ্য দিয়ে। তবে বিএনপি একটি বড় দল। তাই আমরা বলবো, ‘না’ ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেদের কবর রচনা করবেন না। গতাকল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রাজনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যতের পথরেখা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি এবং জামায়াতকে বলবো, কুতর্ক বাদ দিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ তৈরিতে এগিয়ে আসুন।’

অস্পষ্টতার মধ্যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে ঠেলে দেওয়ার সুযোগ নেই মন্তব্য করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হবে, না পরে হবে এটা জামায়াত ও বিএনপির কুতর্ক। এটা থেকে বেরিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে।’ তিনি বলেন, উচ্চকক্ষের পিআর, নিম্নকক্ষে এনে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করেছে জামায়াত। কিন্তু গণভোট প্রশ্ন জামায়াত এক সময় বিএনপির সঙ্গে একত্র হয়ে যাবে। জনগণ মনে করে দুই দল মিলে আসলে কুতর্ক করছে।’ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালার ড্রাফট জনসম্মুখে আনতে হবে জানিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এরপরই এনসিপি এতে সই করবে। আমরা মনে করি, বল এখন ড. ইউনূসের কোর্টে। তিনি যেহেতু আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়, বলা হয়ে থাকে বিদেশি খেলোয়াড়রা বাংলাদেশে খেলতে এলে পিছলে যায়। কারণ বাংলাদেশের মাঠ পিছলা। কিন্তু এই পিছলা যায়গায় আরও বেশি তেলমর্দন করেন আমাদের আইন উপদেষ্টা। তিনি রাজনীতিবিদদের শুধু পিছলা খাওয়াতে চান।’ তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে দেশ যদি গৃহযুদ্ধের দিকে যায়, এর দায়ভার প্রধান উপদেষ্টাকে নিতে হবে।’ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ প্রশ্নে কোনও ছাড় নয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের ৫ লাখ নেতাকর্মীর প্রাণ যাবে। আমরা কিন্তু আওয়ামী লীগের গায়ে হাত দেইনি। কিন্তু তারা দিতে এলে কঠোরভাবে প্রতিহত করবো।’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত