ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত

বললেন বিজিবি প্রধান
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে তিনি একথা বলেন।

সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়েও কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, কোনো পক্ষই সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অতীতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত। আমরা দুর্গাপূজার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে পূজা প্যান্ডেলগুলোর নিরাপত্তা দিয়েছিলাম এবং সেই পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

সীমান্তে বেড়া নির্মাণ ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপড়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো পক্ষেরই সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণের অনুমতি নেই। তিনি আরো বলেন, ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া দেয়া হলে যোগাযোগের শূন্যতা দেখা দেয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়েছে এবং যথাযথ পরামর্শ ও পারস্পরিক আলোচনা হওয়া দরকার বলেও জানিয়ে দিয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয়টি সমাধান করার আশা করছি যাতে নো-ম্যানসল্যান্ডে নির্মাণকাজ করা যায়।’ তিনি বলেন, ‘বর্ডার এলাইনমেন্ট সংক্রান্ত ১৯৭৫ সালের ধারা পরিবর্তনের কোনো আলোচনা হয়নি। এটি এই বৈঠকে আলোচনা সম্ভব নয়। শূন্য রেখা থেকে কতটা পিছিয়ে বেড়া দিতে হবে, তা সবসময়ই আলোচনার অংশ। আমরা এই অবস্থানগুলোতে যৌথ পরিদর্শনের অনুরোধ করেছি।’

অন্যদিকে সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থা সম্পর্কে বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেয়ার জন্য আমরা যথেষ্ট ফোর্স পেয়েছি। একই সাথে আমাদের কাছে প্রযুক্তিগত উপায়ও রয়েছে, অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা। আমরা আমাদের সিস্টেমের প্রতিটি এলাকায় নজর রাখছি যাতে আমরা সীমান্তে যে কোনো অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।’ এর আগে বিএসএফ গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছিল, সীমান্ত-সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা এবং সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরো উন্নত করার জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। এই দ্বি-বার্ষিক আলোচনার সর্বশেষ আয়োজনটি গত বছরের মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত