ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে মডেল হতে পারে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি’

‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে মডেল হতে পারে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি’

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলের জন্য একটি মডেল হতে পারে। গত সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মাহফুজ আলম এ বলেন। পোস্টে মাহফুজ আলম আরও লেখেন- এ অঞ্চলে ইসলামবিদ্বেষসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার উত্থান দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, ঘৃণা এবং মুসলমানদের প্রতি, বিশেষ মুসলিম নারী-শিশুদের প্রতি ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব পুরো অঞ্চলের সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা সহিংসতার ঘটনাগুলোর খবরের সত্যতা যাচাই করেছি। এবং প্রায় সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছি। যা-ই হোক, বেশিরভাগ সহিংসতা সাম্প্রদায়িক কারণ নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সংঘটিত হয়েছিল। যখন সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, সহিংসতা ও ইসলামবিদ্বেষ রাষ্ট্রীয় মদদ, গণমাধ্যমের উসকানি ও মব-চালিত হয়ে ওঠে, তখন তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। একটি রাষ্ট্র তার নিজের নাগরিক ও মুসলিমদের সীমান্তের ওপারের ইসলামবিদ্বেষী দৃষ্টিকোণ (লেন্স) থেকে দেখতে পারে না। বাংলাদেশের একটি নতুন পথের প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের গঙ্গার উত্তর-পশ্চিমের ওপরের অংশে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়। বরং আমাদের বঙ্গোপসাগর ও ভাটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিকেও নজর দেয়া উচিত। বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে একটি নতুন বন্দোবস্ত গড়ে ওঠা উচিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, যেমনটা দারা শিকো, রাজা রামমোহন রায় ও কাজী নজরুল ইসলাম কল্পনা করেছিলেন, তা অবশ্যই জয়ী হবে। যে কোনো ধর্মের নামে চরমপন্থা ও ইসলামবিদ্বেষ এ অঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের প্রত্যাখ্যান করা উচিত। এ অঞ্চলের সব ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও জাতিগত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্প্রীতি ও সহযোগিতার মধ্যে স্থিতিশীলতা নিহিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত