ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গার্মেন্টস মালিকরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন

গার্মেন্টস মালিকরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা আগামী ২৮ মে’র মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। না হলে গার্মেন্টস মালিকদের জেলে যেতে হবে। এরই মধ্যে পাঁচজন গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তারা দেশের বাইরে তো দূরে থাক ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না।

গতকাল বুধবার সকালে সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নৌ পথের যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা এবং কাকরাইলে শ্রম ভবন ঘেরাও কর্মসূচি শুনতে পাচ্ছিলাম। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার রাত ৭টা পর্যন্ত আমরা সচিবালয়ে গার্মেন্টস মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করি। সেখানে গার্মেন্টস মালিকরা জানিয়েছেন, তারা ঘর-বাড়ি বিক্রি করে হলেও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবেন এবং সেটা আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে।

উপদেষ্টা আরো জানান, গার্মেন্টস মালিকদের নিশ্চয়তা আমাদের আশান্বিত করেছে। আমরা মনে করছি, গার্মেন্টস মালিকরা ২৮ তারিখের মধ্যে তাদের স্ব-স্ব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবেন। এর অন্যথা হওয়ার সুযোগ নেই।

উপদেষ্টা আরও বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন। যারা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবেন না, তাদের গার্মেন্টসের মালিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ হয়তো ফ্যাশন করার জন্য গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। আগামীতে এটা হতে দেওয়া যাবে না। টিএনজেড গার্মেন্টস এবং মাহমুদ গার্মেন্টসসহ পাঁচটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এ সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আগামী ঈদ উপলক্ষে নৌরুটে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এবার ঈদের আগে এবং পরে কোনো বাল্কহেড নদীতে চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে চারজন করে সশস্ত্র আনসার নিয়োজিত থাকবেন। যথাসময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনি অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত