ঢাকা রোববার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সচিবালয়ে বিক্ষোভ, তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

অধ্যাদেশের কিছু বিধানের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা রয়েছে, বললেন উপদেষ্টা ফাওজুল
সচিবালয়ে বিক্ষোভ, তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে তারা তিনজন উপদেষ্টার কাছে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

রোববার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। সেখানে তারা ৩০ মিনিটের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানানো হয়।

এরপর তারা মিছিল নিয়ে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এরপর তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার, রোববার ও সোমবার পাঁচ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন কর্মচারীরা। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে অধ্যাদেশ বাতিলে কর্মচারীদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

জানা যায়, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিল। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অভিহিত করছেন।

এদিকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

এসময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, এ অধ্যাদেশের কিছু বিধানের অপ-প্রয়োগের আশঙ্কা রয়েছে।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমি অধ্যাদেশটি দেখেছি। উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজনের নজরে এই জিনিসটা এনেছি। এখানে কিছু প্রভিশান আছে, যেগুলো অপ-প্রয়োগের সম্ভাবনা আছে। উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে ধরার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। প্রধান উপদেষ্টার কাছেও তিনি বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান। তবে তিনি অনুরোধ করেন, এই অধ্যাদেশটি রেখে কি কি সেইফগার্ড করলে, এটি কর্মচারীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে তা ভেবে দেখার জন্য।

উপস্থিত কর্মচারী নেতারা বলেন, এই অধ্যাদেশ সংবিধানবিরোধী কালো আইন। তারা অবিলম্বে এটা বাতিল চান। এসময় বক্তব্য দেন সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত