ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি

আমরণ অনশনে তিতুমীর শিক্ষার্থীরা

আমরণ অনশনে তিতুমীর শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্রতর হয়েছে। এই দাবি আদায়ের জন্য আমরণ অনশনে বসেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে কলেজটির মূল ফটকে সামনে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা এ অনশন শুরু করেন। এ সময় তারা ৭ দফা দাবি জানান। আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম তিতুমীর ঐক্যের সাত দফা দাবিগুলো হলো- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ; তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা; শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন; ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল' এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন; একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ; শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ। অনশনে অংশ নেয়া কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, রাষ্ট্রের কাছে বারবার দাবি জানিয়েছি, কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। তাই সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় ও সচেতনভাবে আমরণ অনশনে যাচ্ছি।

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, তিতুমীর ঐক্যের ডাকে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে নিজ দায়িত্বে আমি আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছি। তিতুমীর কলেজের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিত করা ও ঢাকা উত্তরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আন্দোলন আজ সময়ের দাবি। আমাদের এই সংগ্রাম শুধু তিতুমীরের নয়, বরং সমগ্র জাতির উচ্চশিক্ষার উন্নয়নের জন্য। এই অনশন কেবল আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, এটি আমাদের সবার অধিকারের জন্য লড়াই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনারা যারা ন্যায়বিচার ও শিক্ষার সমতার পক্ষে, তারা এই আন্দোলনে আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। আসুন, একসাথে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত