সরকারি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের আচরণ নিয়ে সন্তুষ্টির হার ৬৩.১৩ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩৭ শতাংশ সেবাগ্রহীতা মনে করছেন, তাদের সঙ্গে সেবা প্রদানকারীদের আচরণ সন্তোষজনক নয়। এ ব্যাপারে বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও গ্রামীণ এলাকার নাগরিকদের অসন্তুষ্টির মাত্রা বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। জরিপে দেখা গেছে, গত এক বছরে প্রায় অর্ধেক নাগরিক সরকারি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন। যদিও সেবার সহজলভ্যতা ও খরচ সামর্থ্যের মধ্যে থাকার হার যথেষ্ট উচ্চ (৮২.৭২ শতাংশ এবং ৮৯.৩৪ শতাংশ), তবুও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের আচরণ ও সেবাগ্রহীতার প্রতি মনোভাব নিয়ে রয়েছে বিশেষ উদ্বেগ। মাত্র ৬৩.১৯ শতাংশ সেবা গ্রহণকারী যথেষ্ট সময় পেয়েছেন বলে মত দিয়েছেন। বাকি প্রায় ৩৭ শতাংশ মনে করেন, সময়ের ঘাটতির কারণে তাদের সমস্যার যথাযথ সমাধান হয়নি।
জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তাররা যথাযথ সম্মান ও করুণাময় মনোভাব দেখাচ্ছেন না। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই অভিযোগ করেছেন যে সেবার সময় ধীরগতি, মনোযোগের অভাব এবং অবহেলা লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাধারণ ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টির হার ৬৫.০৭ শতাংশ। যা নির্দেশ করে মানোন্নয়ন এবং পরিষেবা ব্যবস্থাপনায় এখনো ব্যাপক উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্যখাতে এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ ও জনবান্ধব করে গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।