ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্দেশ অমান্য করেছে ৪৪ ব্যাংক

উপেক্ষিত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সিএসআরের ৫৪% ব্যয় ‘অন্যান্য’ খাতে

উপেক্ষিত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা  সিএসআরের ৫৪% ব্যয় ‘অন্যান্য’ খাতে

নিয়ম অনুয়াযী মুনাফার একটি অংশ কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে খরচ করে দেশের ব্যাংকগুলো। সিএসআরের অর্থ যাতে দেশের টেকসই খাতে ব্যবহার হয় এ জন্য একটি নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানছে না। অর্থ বণ্টনে উপেক্ষিত হচ্ছে অগ্রাধিকার দেয়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত। একই সঙ্গে এ খাতের অর্থ ব্যয় ধারাবাহিকভাবে কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর খাতে ২০২৪ সালে ৬১৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় করেছে ব্যাংকগুলো, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বা ৩০৮ কোটি টাকা কম। ২০২৩ সালে এ খাতে ব্যাংকগুলো ব্যয় করেছিল ৯২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর আগে ২০২২ সালে ব্যয় করেছিল এক হাজার ১২৯ কোটি টাকা। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ব্যয় কমেছে ৫১৩ কোটি বা ৪৫ শতাংশের বেশি। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএসআর সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। বিদ্যমান নিয়মে যেসব ব্যাংক নিট মুনাফা করবে, শুধু তারা সিএসআর ব্যয় করতে পারে। মুনাফার কত শতাংশ ব্যয় করবে বা আদৌ করবে কি না তা ওই ব্যাংকের নিজস্ব বিষয়। তবে ব্যয় করলে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যয় করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট সিএসআর ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য খাতে ৩০ শতাংশ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। বাকি ২০ শতাংশ অর্থ আয় উপযোগী উদ্যোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য খাতের আওতায় খরচ করা যাবে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৬১টি তফসিলি ব্যাংক আলোচিত সময় (২০২৪ সালে) নির্দেশনা উপেক্ষা করে সবচেয়ে বেশি ৫৪ শতাংশ বা ৩৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় করেছে ‘অন্যান্য’ খাতে। আর শিক্ষায় মাত্র ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বা ১০৮ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যে ১৫৫ কোটি বা ২৫ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাত্র ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ বা ২২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে ৬টি ব্যাংক সিএসআরে কোনো অর্থ ব্যয় করেনি।

ব্যাংকগুলো হলো- বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স, ন্যাশনাল এবং পদ্মা ব্যাংক। নিয়ম অনুযায়ী ১৪টি ব্যাংক শিক্ষাখাতে ৩০ শতাংশ, ২১টি ব্যাংক স্বাস্থ্যখাতে ৩০ শতাংশ এবং ৯টি ব্যাংক পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন-অভিযোজন খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত