এক সময় ভারতের উপরই বেশি নির্ভর করতেন বাংলাদেশিরা বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য। ফলে, বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেও ভারতের অবস্থান ছিল শীর্ষে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই চিত্র বদলে গেছে। ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিবেশে কিছু পরিবর্তন আসায় ভারতে ভ্রমণ কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়েও। ফলে, দীর্ঘদিন শীর্ষে থাকা ভারত এখন নেমে এসেছে পঞ্চম স্থানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে মোট ৩৬১ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ১৫.৮৯ শতাংশ।
গত বছরের একই মাসে (মার্চ ২০২৪) বিদেশে কার্ড ব্যয়ে মোট খরচ ছিল ৫০৪ কোটি টাকা। তখন যুক্তরাষ্ট্রে খরচ হয়েছিল ৬৩ কোটি টাকা (১২.৫৮ শতাংশ)। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে খরচের অঙ্ক খুব বেশি বাড়েনি, তবে ভারতের মতো অন্য গন্তব্যগুলোতে খরচ কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এখন তালিকার শীর্ষে। চলতি বছরের মার্চে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখানে খরচ হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা (৯.৯৮ শতাংশ)। তৃতীয় স্থানে সৌদি আরব, যেখানে খরচ হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা (৯.৭৫ শতাংশ)। এরপর চতুর্থ অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর (৩১ কোটি টাকা, ৮.৬১ শতাংশ)। ভারতের অবস্থান এখন পঞ্চম। সেখানে মার্চ মাসে খরচ হয়েছে মাত্র ২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ৭.৬৩ শতাংশ। অথচ গত বছরের মার্চে ভারতে খরচ হয়েছিল ১০৬ কোটি টাকার বেশি। থাইল্যান্ডেও খরচ কমেছে। ২০২৫ সালের মার্চে দেশটিতে খরচ হয়েছে ২২ কোটি টাকা, যেখানে এক বছর আগে ছিল প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের ভিসা পাওয়া কঠিন হওয়া এবং বিকল্প গন্তব্যে আগ্রহ বাড়ার কারণে এই পরিবর্তন ঘটছে।
