ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিশ্ববাজারে আধিপত্য বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির

বিশ্ববাজারে আধিপত্য বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির

চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডির অন্যতম জনপ্রিয় একটি মডেল ‘সিগাল’। ২০২৩ সাল থেকে চীনে এই গাড়ি বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি ‘ডলফিন সার্ফ’ নাম দিয়ে এটি ইউরোপের বাজারে ছাড়া হয়েছে। ইউরোপীয়রা সিগাল পছন্দ করেন না বলেই অন্য নামে গাড়িটি সেখানকার বাজারে ছেড়েছে বিওয়াইডি। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে গাড়িটি বিক্রি শুরু হবে। সেখানে এটির দাম পড়বে প্রায় ১৮ হাজার পাউন্ড। বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে পশ্চিমা বাজারের জন্য এটি সত্যিই একটি সস্তা গাড়ি। খবর বিবিসির বিওয়াইডি এরইমধ্যে চীনের সবচেয়ে বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। গত ২০২৪ সালে বিওয়াইডি বিশ্বের শীর্ষ অতিধনী যুক্তরাষ্ট্রের ইলন মাস্কের টেসলা ব্র্যান্ডকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বড় ইভি নির্মাতায় পরিণত হয়েছে। দুই বছর আগে থেকে ইউরোপীয় বাজারে প্রবেশের পর থেকে বিওয়াইডি বেশ দ্রুত তাদের বাজার সম্প্রসারণে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে বিওয়াইডির বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক স্টিভ বিটি বলছেন, ‘আমরা ১০ বছরের মধ্যে ইউরোপের বাজারে এক নম্বর হতে চাই।’ কিছু বিশ্লেষকের মতে, বৈশ্বিক মোটরশিল্পের চেহারা বদলে দিতে পারে বিওয়াইডি। প্রতিষ্ঠানটির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও ইইউ কঠোর শুল্কনীতি প্রণয়নে বাধ্য হয়েছে। বার্মিংহাম বিজনেস স্কুলের ব্যবসা ও অর্থনীতির অধ্যাপক ডেভিড বেইলি বলছেন, চীনা ব্র্যান্ডগুলো ইউরোপীয় বাজারে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করছে। বেইলি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, চীনে এরইমধ্যে বড় অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ায় এবং আধুনিক ব্যাটারি প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির খরচ কম পড়ছে। এর ফলে ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতারা চীনা কোম্পানিগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়ছে। ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ৭০ লাখ ব্যাটারি ও প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ বিক্রি হয়েছে শুধু চীনে। পরামর্শক সংস্থা রো মোশনের তথ্য অনুযায়ী, চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বাইরে বৈশ্বিক ইভি ও প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ির বাজারে ১০ শতাংশ দখল করে নিয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে চীনা গাড়িগুলো হ্যাকার ও তৃতীয় পক্ষের জন্য নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এর পাশাপাশি ইউরোপের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জও বটে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত