ঢাকা রোববার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দাপুটে জয়ে প্লে অফে বরিশাল

দাপুটে জয়ে প্লে অফে বরিশাল

দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আয়ু। ঢাকা-সিলেট-ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম ঘুরে ফের ঢাকায় এ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। নানা বিতর্ক ছাপিয়ে ব্যাটে-বলে জমে উঠেছে লড়াই। অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় দল হিসেবে একাদশ আসরের নকআউট পর্বের টিকিট কেটেছে ফরচুন বরিশাল। দাপুটে এ জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররা। বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরালেন ফাহিম আশরাফ। তাতে লণ্ডভণ্ড সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিং লাইনআপ। কোনো মতে লড়াইয়ের পুঁজি মিলে দলটির। এর পর বাকি কাজ শেষ করেন ব্যাটাররা। তাতেই প্লে অফে নাম লিখেছে ফরচুন বরিশাল।

গতকাল সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ১৮.১ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে ২৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বরিশাল। সহজ লক্ষ্য বরিশাল ছুঁয়ে ফেলে ৪ ওভার আগে। ৮ উইকেটের জয়ে তারা দ্বিতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে প্লে’অফ। ৯ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট তামিমের বরিশালের। রংপুরের পরই তাদের অবস্থান। অন্যদিকে অষ্টম হারে সিলেটের শেষ চারে সুযোগ এখানেই শেষ হয়ে গেছে। সিলেটের জন্য গল্পগুলো ছিল একই রকম। ধারাবাহিক ব্যাটিং বিপর্যয়। নিষ্প্রাণ বোলিং আক্রমণ। ফিল্ডিংটাও গড়পড়তা। সব মিলিয়ে দলটা একেবারেই অগোছালো। বিপক্ষ দলের জন্য কেবল পরিবর্তন হয় ম্যাচের নায়কের। নতুন ম্যাচ, নতুন নায়ক। বরিশালের বিপক্ষে প্রথম দেখায় পাকিস্তানি পেসার জাহানদাদ খান ৩ উইকেট নিয়ে তাদের গুটিয়ে দিয়েছিলেন। এবার স্বদেশি ফাহিম আশরাফ তার মিডিয়াম পেসে এলোমেলো করে দিলেন সিলেটকে। তাসকিন আহমেদের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিপিএলে ফাইফারের স্বাদ পেয়েছেন। এ জন্য ৩.১ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। রান দিয়েছেন কেবল ৭টি। প্রথম ওভারে রনি তালুকদার ও কাডিম এলায়িনকে আউট করার পর পরের ওভারে নাহিদুলকে বোল্ড করেন ডানহাতি পেসার। এর পর তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে ফিরে আরিফুল ও সুমন খানের উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফারের স্বাদ পান। তার তোপেই পুড়েছে সিলেট। ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন আহসান ভাট্টি। ২৪ রান আসে জাকের আলীর ব্যাট থেকে। বাকিরা প্রতে?্যকেই ছিলেন নিষ্প্রভ। ফাহিম বাদে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী ও জেমস ফুলার। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় তামিম পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। ১৬তম ওভারের শেষ বলে বরিশালের জয়ের জন্য লাগত ১ রান। তামিম তখন ৪৮ রানে। পেসার সুমন খানকে লং অনে উড়িয়ে চার পান তামিম। মুশফিক সিঙ্গেল নেয়ার জন?্য দৌড় দিলেও তাকে আটকে দেন।

তিনি ক্রিজের অর্ধেক চলে আসলে ১ রান কাউন্ট হতো। বলটি সীমানা অতিক্রম করায় তামিম পেয়েছেন এবারের আসরের তৃতীয় ফিফটি। ৫১ বলে ৫২ রান করেন ৬ বাউন্ডারিতে। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ৩০ বলে ৪২ রান করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। এর আগে তাওহীদ হৃদয় ৬ ও ডেভিড মালান ৯ রানে আউট হন। টানা চার জয়ে বিপিএলের শিরোপাধারীরা রয়েছে দারুণ ছন্দে। প্লে’অফের আগে এমন ছন্দ নিশ্চিতভাবেই খুঁজে পেতে চেয়েছিল তামিমের দল। অন্যদিকে এই হারে কাগজে কলমে টিকে থাকলেও বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল সিলেটের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত