মিরপুর শেরে বাংলায় আকাশী নীলের উৎসব চললো প্রায় দুই ঘণ্টা। গ্যালারিতে একের পর এক বল আছড়ে ফেলে চট্টগ্রামের সমর্থকদের মনে আলোড়ন তোলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফা। দুজনের দারুণ শুরুতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে চিটাগং কিংস। পরে গ্রাহাম ক্লার্কও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। তিনজনের ব্যাটে বিপিএল ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করেছে চিটাগং কিংস। আর এদিন চট্টগ্রামের রান উৎসবে বিপিএলের ফাইনালে নতুন রেকর্ড গড়েছে। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে চিটাগাংয়ের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনী করেন খাজা নাফি ও পারভেজ হোসেন। ফাইনালের শিরোপা লড়াইয়ে আজ বরিশালের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে থাকে এই দুই ওপেনার। তাতে গড়েছেন ১২১ রানের পার্টনারশিপ, যা বিপিএলের ফাইনালে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ। এর আগে বিপিএলের কোনো ফাইনালে শতরানের উদ্বোধনী জুটি ছিল না। সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ২০২৩ সালে তামিম ইকবাল ও মেহেদি হাসান মিরাজের ৭৬ রানের। যা এতদিন সর্বোচ্চ ছিল। আজ বিপিএলের ইতিহাস প্রথম সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছে। একই সঙ্গে যেকোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এটি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। এদিকে রেকর্ড গড়ে জিততে হবে তামিমের বরিশালকে। বিপিএলে এখন পর্যন্ত ফাইনালে সর্বোচ্চ ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে কুমিল্লা ২০২৩ সালে। ফলে আজ বরিশালের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে হলে রেকর্ড তাড়া করে জিততে হবে।
শিরোপার লড়াইয়ে টসে জিতে চিটাগাংকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ব্যাটিং করতে থাকেন পারভেজ ইমন। বরিশালের বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। অন্যদিকে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন নাফি। ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন পারভেজ ইমন। এর পর ৩৭ বলে ফিফটি করেন নাফি। উদ্বোধনী জুটিতে ১২১ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এর পর ৪৪ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান নাফি। তাকে আউট করেন বরিশালকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার এবাদত হোসেন। নাফির বিদায়ের পর ক্রিজে আসা গ্রাহাম ক্লার্ককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ইমন। মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন ক্লার্ক। ইমনকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন তিনি। দলীয় ১৯১ রানে ২৩ বলে ৪৪ রান করে আউট হন ক্লার্ক। তার বিদায়ের পর ২ বলে ২ রান করে আউট হন শামীম পাটোয়ারি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করে চিটাগাং। ৪৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন পারভেজ ইমন। মোহাম্মদ আলি ও এবাদত হোসেন নেন ১টি করে উইকেট।