ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) দলবদল শেষ হয়েছে। দুই দিনে এই আয়োজন শেষ হলেও দল পাননি লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে বড় নামের মধ্যে শুধু এ দুজনেরই এই হাল। ডিপিএলের দলবদলে ১৬৫ জন ক্রিকেটার নিজেদের ঠিকানা খুঁজে নিলেও জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটারের কপাল মন্দ। দুই দিনে দলবদল করা তালিকায় লিটন-মোস্তাফিজ কারও নাম নেই। তারকা দুই ক্রিকেটারের এমন অবস্থার মূল কারণ ডিপিএলের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক কমে যাওয়া। মূলত দুটি ক্লাবের সঙ্গে লিটনের কথাবার্তা হলেও পারিশ্রমিকের কারণেই আটকে গেছে চুক্তি। একটি ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, লিটন পুরো আসরের জন্য পারিশ্রমিক চেয়েছেন ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু ওই ক্লাব তাকে দিতে চায় ১৫ লাখ। এত কমে লিটন যেতে আগ্রহী না বলে চুক্তি করেননি।
শেষ পর্যন্ত কোনো ক্লাবে খেললে লিটন ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বেশি পাবেন না। অবশ্য লিটন ডিপিএলে শেষ পর্যন্ত দল না পেলেও ক্ষতি নেই। এই ক্রিকেটারকে পাকিস্তান সুপার লিগের দল করাচি কিংস নিয়ে রেখেছে। ১০ এপ্রিল থেকে ওই আসরে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন লিটন। ওই দলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৫০ লাখ টাকা পাবেন লিটন। তাই দেশের ক্লাবগুলোর থেকেও একই অর্থ দাবি করেছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে অবশ্য এমন নয়। এই পেসারকে কেনেনি পিএসএলের কোন দল। তাই বিশ্রাম নিতে না চাইলে ঘরোয়া ক্রিকেটই ভরসা। কিন্তু এখনও কোন ক্লাব মোস্তাফিজকে নেয়নি। এবারের প্রিমিয়ার লিগে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক গতবারের চেয়ে অর্ধেক বা তারও বেশি কমে গেছে। তারপরও কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে অনেক ক্রিকেটারই নিরুপায় হয়ে কম পারিশ্রমিকে দলবদল করছেন। আবাহনীতে নাম লেখানো মোহাম্মদ মিঠুন আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেছেন, ‘যতই দেশের প্রেক্ষাপট বলেন বা অজুহাত দেয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু দিন শেষে যখন চাকরি করবেন, আপনি কিন্তু যথাযথ পারিশ্রমিকই আশা করবেন। আমাদের পেশা কিন্তু ক্রিকেট। আশা করি, গত বছর যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে উন্নতি করার। কিন্তু এখন সব ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক কমেছে এবং সেটা বড় অঙ্কে কমেছে। যেটা পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা আশা করি না।’