চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে মাদ্রাসা ছাত্র মো. মিলন হোসেনকে (১২) শ্বাসরোধ এবং পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে আসামি শামিম হোসেন ও সোহাগ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য আসামি রাব্বি হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এ রায় দেন। হত্যার শিকার মিলন হোসেন কচুয়া কান্দিরপাড় গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে। মিলন স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শামিম হোসেন কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির ইমাম হোসেন ও সোহাগ হোসেন পাশ্ববর্তী পাড়াগাঁও গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বি হোসেন কান্দিরপাড় গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, হত্যার শিকার মিলনের পিতা তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের স্বজনদের সম্পত্তিগত বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৯ জুন মিলন বাড়ি থেকে পাশের রহিমানগর বাজারে যায়। বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন ৩০ জুন কচুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার ভাই রিপন হোসে। এরপর ২ জুলাই স্থানীয়দের মাধ্যমে মিলনের পরিবার জানতে পারে- আসামি শামিম, সোহাগ ও রাব্বি মিলনকে ধনচের জমিতে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
বাদী রিপন হোসেন জানান, আসামিদের নাম পরিচয় জানার পর প্রথমে স্থানীয় লোকজন শামীমকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকি দুই আসামি সোহাগ ও রাব্বির নাম পাওয়া যায়। এরপর তাদেরকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ২ জুলাই ঘটনাস্থল থেকে মিলনের লাশ উদ্ধার ও আসামিদের থানা হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় মিলনের বড় ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।