একটা সময় স্পিনারদের নিয়ে দাপট দেখালেও বাংলাদেশের ভরসা এখন পেস বোলিং। তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে পেস বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান। স্কোর বোর্ডে পর্যাপ্ত রান থাকলে যেকোনো প্রতিপক্ষকেই চমকে দিতে পারেন তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও নিজেদের কাজটা ঠিকই করে গেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। তাসকিন, নাহিদ, মুস্তাফিজদের উন্নতি দেখে খুশি আকিব জাভেদ। এক সময় একাদশে তিনজন পেসার নিয়ে খেলতে নামতো বাংলাদেশ। সেই সময় পেসারদের কাজই ছিল বলটিকে কিছুটা পুরোনো করে স্পিনারদের হাতে তুলে দেয়া। এমনকি একজন পেসার নিয়ে খেলার রেকর্ডও আছে বাংলাদেশের। তবে সবশেষ কয়েক বছরে সেখান থেকে অনেকটা সরে এসেছে তারা। ফলে বাংলাদেশের বোলিংয়ের শক্তির জায়গা হয়ে উঠেছেন পেসাররা। ম্যাচ জয়ে বড় অবদানও রাখছেন নিয়মিতই।
সবশেষ পাকিস্তান সফরে দুই টেস্টের সিরিজ জয়ে বল হাতে অবদান রেখেছিলেন নাহিদ, হাসান মাহমুদরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নাহিদ, তাসকিনরা বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন। দুই সিরিজেই পেসারদের বোলিং দেখেছেন আকিব। পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ প্রশংসা করেছেন নাহিদ, তাসকিন ও মুস্তাফিজের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পেসারদের উন্নতি দেখে আনন্দিত তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আকিব বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলিং আমি দেখেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও তারা যেভাবে বোলিং করেছে তাতেই বোঝা যায় তারা খুব স্কিলফুল। বিশেষ করে নাহিদ রানা, তার উচ্চতা আছে, গতি আছে। তাসকিন খুবই স্কিলফুল বোলার। আরেকজন হচ্ছে মুস্তাফিজ। সে খুবই অভিজ্ঞ। তার ভ্যারিয়েশন অনেক। আমি আনন্দিত কেননা বাংলাদেশের ফাস্ট বোলাররাও এগিয়ে আসছে।’