আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মত শিরোপা জিতেছে ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে ঘটে যাওয়া পাঁচটি উল্লেখ্যযোগ্য দিক তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
জবাব দিলেন কোহলি : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে কোহলির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি।
কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। গ্রুপ পর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ওই ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালেও ভারতের ত্রাণকর্তা ছিলেন কোহলি। আগ্রাসী মনোভাব থেকে সরে এসে পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এবং স্ট্রাইক রেট ধরে রেখে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে ম্যাচ বের করে আনেন কোহলি।
অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ২৬৫ রানের টার্গেটে ৯৮ বলে ৮৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংসে মাত্র ৫টি চার মারেন কোহলি। ৫৬টি সিঙ্গেলস ও ৪টি ডাবলস নেন তিনি। কোহলির এমন ইনিংসকে প্রশংসায় ভাসান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘রান তাড়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব সেরা কোহলি।’
স্মিথের অবসর, রোহিতের ‘না’ : সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার একদিন পর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ।
সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন স্মিথ। ২০১০ সালে ওয়ানডেতে অভিষেকের পর ১৭০ ম্যাচে ১২টি সেঞ্চুরি ও ৩৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৩.২৮ গড়ে ৫,৮০০ রান করেছেন স্মিথ।