দলের প্রয়োজনে এবার আর নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না লিওনেল মেসি। পারল না তার কোনো সতীর্থও। প্রায় পুরোটা সময় সাদামাটা ফুটবল খেলে, সমর্থকদের হতাশ করে হারের বিষাদ নিয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের মাঠ বিসি প্লেসে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ভ্যাঙ্কুভার ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে মেজর লিগের জায়ান্ট মায়ামিকে। ভ্যাঙ্কুভারের ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচে দর্শকসংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। স্বাগতিকরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২-০ অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে গেল। আগামীকাল রোববার লিগ ম্যাচে মিনেসোটার বিপক্ষে খেলার পর ভ্যাঙ্কুভারের বুধবার মায়ামিতে দ্বিতীয় লেগ খেলতে যাবে। ভ্যাঙ্কুভার আত্মবিশ্বাস নিয়েই দ্বিতীয় লেগে যাচ্ছে। ঘরের মাঠে ৫৩,৮৩৭ জন দর্শকের উপস্থিতিতে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি মেসিকে আতিথ্য দিয়েছিল তারা। ঘরের মাঠে অর্ধেক দর্শকই ছিল ইন্টার মায়ামির গোলাপি জার্সিবা আর্জেন্টিনার নীল-সাদা জার্সি পরিহিত। ম্যাচের আগের দিন হোয়াইটক্যাপসের অনুশীলনে কয়েকজন দর্শক ছিলেন। কিন্তু যখন মেসিরা আসেন, তখন গেটের সামনে ব্যারিকেড বসানো হয়। তবে ঘরের মাঠেই যে অল্প সংখ্যক দর্শক ভ্যাঙ্কুভারকে সমর্থন দিল তারাই যথেষ্ট ছিল মেসিদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য। মায়ামি ম্যাচটি শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। এক সময় তাদের ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বলের দখল ছিল এবং গড় দখল ছিল ৬৯ শতাংশ। ভ্যাঙ্কুভারের কোচ জেসপার সোরেনসেন বললেন, এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল না। তবে ডেনিশ কোচের দল দারুণভাবে রক্ষণ করে ২৪তম মিনিটে ব্রায়ান হোয়াইট গোল করার আগ পর্যন্ত মায়ামির আক্রমণ থামিয়ে রেখেছিল। ম্যাচ শেষে সোরেনসেন বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত ছিল না। মায়ামি বল পজেশনে খুব ভালো। আমাদেরও বল ধরে খেলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। আজকের খেলাটা একপেশে ছিল বলা চলে। মায়ামি খেলাটা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। তবে আমরা কিছু ভালো মুহূর্ত পেয়েছি, ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করেছি। সার্বিকভাবে আমাদের খেলায় কিছুটা ঘাটতি ছিল। তবে ফলাফল ছিল অসাধারণ।’ এদিকে ম্যাচ হেরে কনকাকাফ থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে মায়ামি। দলটির আর্জেন্টাইন কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো বলেন, ‘বেশি কিছু বলার নেই। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। জয়ের যোগ্য ছিল ওরাই। (আমাদের) হারানোর কিছু নেই। আমাদের জিততেই হবে।