দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসবের রোমাঞ্চকর ফাইনালের মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। কিন্তু বাগড়া দিল বেরসিক বৃষ্টি। বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনাল ম্যাচটি শুরুই হতে পারল না। শেষ পর্যন্ত ট্রফির ফয়সালা হলো টসে। সেখানে হৃদয় ভাঙল বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের।
ভাগ্যকে পাশে পেয়ে শিরোপার উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল। মাঠের ক্রিকেটে জয়-পরাজয় নির্ধারনের জন্য অন্তত ২০ ওভার খেলা হতেই হতো। সেটি সম্ভব না হলে সুপার ওভারের নিয়ম ছিল। কিন্তু সম্ভব হয়নি সেসব কিছুই। বাইলজ অনুযায়ী তাই টসেই নির্ধারিত হয় দুই দলের ভাগ্য।
শিরোপাজয়ী কুমিল্লার মডার্ন হাই স্কুল প্রাইজমানি পেয়েছে দেড় লাখ টাকা, রানার্স আপ বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ পেয়েছে ১ লাখ টাকা। জাতীয় পর্যায়ের তিন ম্যাচে প্রায় ৬৯ গড়ে ২০৬ রান করে আসরের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের আফনান ইন্তেহাদ, ১১ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার গুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের আকাশ রায়। বোলিংয়ে সাফল্যের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১২৭ রান করে ম্যান অব দা টুর্নামেন্টও হয়েছে আকাশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে ছিলেন সাবেক জাতীয় অধিনায়ক ও গেম ডেভেলপমেন্টের হেড অব অপারেশন্স হাবিবুল বাশার ও জাতীয় ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ। দীর্ঘদিনের পৃষ্ঠপোষক প্রাইম ব্যাংকের প্রতিনিধি ছিলেন মামুর আহমেদ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব রিটেইল এবং সৈয়দ রায়হান তারিক, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশনস।
অনেক বছর ধরেই দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট আসর প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট। এবারের টুর্নামেন্টের অংশ নেয় ৩৫১টি স্কুল, মোট ম্যাচ হয়েছে ৫৮৫টি। ২০১৫ সাল থেকে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিসিবির সঙ্গী প্রাইম ব্যাংক। এই ১০ বছরে ৬৬ হাজারের বেশি ক্রিকেটার রাঙিয়েছেন এই ক্রিকেট উৎসব।