ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মানিকগঞ্জে মালিকের অজান্তে ফসলি জমি কেটে পুকুর!

মানিকগঞ্জে মালিকের অজান্তে ফসলি জমি কেটে পুকুর!

মানিকগঞ্জে জমির মালিককে না জানিয়ে তার ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন ও অবৈধভাবে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ভুক্তভোগী মো. ইমরান খান সবুজ প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের বাজেয়াপ্ত ভাটরা মৌজায় কয়েক বিঘা আবাদি জমির মাটি কেটে বাণিজ্য করা হচ্ছে। সেখানকার ২৬ শতাংশ জায়গার মালিক শাম্মী আক্তার। তার কাছ থেকে কোনো অনুমতি ছাড়াই মাটি বিক্রি করে সেই জমিটি বর্তমানে পুকুর বানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী ইমরান খান সবুজ বলেন, আমার স্ত্রী শাম্মি আক্তার পৈতৃক সূত্রে বাজেয়াপ্ত ভাটরা মৌজার ১৮১ ও ১৮২ নং দাগে ২৬ শতাংশ জমির মালিক। সম্প্রতি আমার চাচা মামুন খান অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নিয়ে যাই। বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেখি অন্যদের জমির সাথে আমাদের ২৬ শতাংশ আবাদি জমির সম্পূর্ণ মাটি কেটে একটি বিশাল পুকুর বানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি গড়পাড়া এলাকার সুজন ও অলিদ গং এই অবৈধ কাজটি করেছে। এই বিষয়ে সুজনের সাথে কথা বলতে গেলে, সুজন ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেন। আমি টাকা চাইনা। আমার আবাদি জমির মাটি কাটার বিচার চাই। আমার জমিটি যেন পুনরায় আগের রূপে ফিরিয়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের কাছে সেই দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুজন সরকার বলেন, আমি শাম্মীর চাচাতো ভাই। তার আপন ভাইকে নিয়ে ওই জমির টাকা তাদেরকে দিয়েছি।

আরেক অভিযুক্ত অলিদ বলেন, প্রতি গাড়ি মাটি আমরা ১৩ শত টাকা করে কিনে নিয়েছি। ওই জায়গাটি সজিব ও সুজনদের। আমরা মাটি কন্ট্রাক্ট নিয়েছি। যদি সমস্যা হয় তাহলে মাটি নেব না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেসবাহ উল সাবেরিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জ,ফসলি জমি,পুকুর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত