
টাঙ্গাইলের সখীপুরের বড়চওনা-ধইন্যাজানি সড়কের হামিদপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সড়কের হামিদপুর চৌরাস্তা থেকে বাঘেরবাড়ি যাওয়ার সড়কটি ধসে পড়েছে। প্রায় ৬ মাস ধরে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত থাকায় হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের এমন বেহাল দশার বিষয়ে প্রতিকার পেতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় লোকজন ও কৃষকরা জানান, ওই কালভার্টের নীচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশন হতো।
চলতি বর্ষা মৌসুমে কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করায় বৃষ্টিপাতের কারণে এলাকাজুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উজানের পানি প্রবাহিত হতে না পেরে সড়ক দিয়ে নেমে আসছে।
স্থানীয় সাইফুল ইসলাম জানান, এটি অনেক পুরোনো রাস্তা। কালভার্টের দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানি পাকা সড়ক দিয়ে স্রোতের মতো প্রবাহিত হচ্ছে।
আবু তাহের নামে এক পথচারী জানান, এই রাস্তা দিয়ে ক্রমাগত পানি প্রবাহের ফলে রাস্তা ভেঙে খালে পরিণত হয়েছে। এত খারাপ অবস্থা হয়েছে যে হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় আরেক কৃষক জানান, এই জলাবদ্ধতার কারণে আমার পুকুরের দুই লাখ টাকার মাছ চলে গেছে। কালভার্ট না থাকায় আমার বাড়ির রাস্তায় পানি উঠেছে। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ জানান, এলাকাবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ওই সড়ক দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আশপাশে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি হাটবাজার ও বাঘেরবাড়ি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেও চিকিৎসাসেবা নিতে মানুষজন ভোগান্তিতে পড়েছে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ঠিক কী কারণে ওই কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করায় এমন জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও ওই কালভার্ট ও ধসে যাওয়া সড়ক মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।