
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাসচাপায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা মো. সোহেল চৌধুরী নিহতের ঘটনায় আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছেন নেতা-কর্মীরা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোর থেকে অবরোধ চলাকালীন সময় হাটহাজারী-রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি সড়কের মাঝখানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ জনগণ ও অফিসগামী চাকরিজীবীরা। পরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
সংগঠনের কয়েকজন নেতা বলেন, মঙ্গলবার হাটহাজারী-রাউজান মহাসড়কের শান্তিরদ্বীপ এলাকায় সোহেল চৌধুরীকে একটি বাস পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গাড়ি ও মরদেহ নিয়ে স্থানীয় হাইওয়ে থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ তাদের নিজেদের মতো করে মামলার এজাহার লেখার প্রস্তাব দেয়। এতে হেফাজত নেতারা রাজি না হয়ে এজাহারে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করতে বলেন। পুলিশ অস্বীকৃতি জানিয়ে মামলা নেয়নি। যার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকেই বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি চলে। তবে প্রশাসনের সাথে আলোচনা মাধ্যমে আমাদের অবরোধ তুলে নিয়ে নিই।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনজুরুল কাদের ভুঁইয়া বলেন, ‘হেফাজতের নেতা-কর্মীরা হাটহাজারীতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধ করে রাখেন। পরে হাটহাজারী সার্কেল ও ইউএনও তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হয়।
এই বিষয়ে ইউএনও আববদুল্লাহ আল মুমিন জানান, নিহতের পরিবার ও বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে বসে সমাধান করা হয়েছে। অবরোধ তুলে যান চলাচল এখন স্বাভাবিক আছে। নিহতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্যাশ দেয়া হবে বাস মালিক সমিতির তরফ থেকে। সরকার থেকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেয়া হবে। নিহতের পরিবারের পাশে থেকে সকল সহযোগিতা করবে উপজেলা প্রশাসন।