জাপানে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর সুযোগ বাড়ছে এবং এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী সেখানে জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (২৯ মে) জাপানে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, জাপানের আন্তর্জাতিক রিক্রুটমেন্ট কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সেমিনারে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে দেশটি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নিতে চায়। এসব কর্মীর মধ্যে থাকবেন প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত উভয় ধরণের মানুষ।
জাপানে কাজের জন্য ভাষাজ্ঞানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে তুলে ধরেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশি কর্মীদের বেশিরভাগই এম৫ লেভেল পর্যন্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, যা জাপানের কর্মবাজারে পর্যাপ্ত নয়। এজন্য সরকার এম৪ লেভেল পর্যন্ত ভাষা প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে করে কর্মীরা উচ্চ বেতন ও ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশে একটি ল্যাংগুয়েজ ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। ভাষা প্রশিক্ষণ বিষয়ে আগ্রহ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রেস সচিব, যার প্রমাণ হিসেবে তিনি জানান, বর্তমানে জাপানে ভাষা প্রশিক্ষণরত প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগও পাচ্ছেন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১০ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আগে জাপানে ভর্তির জন্য অর্থ পাঠানো কঠিন হলেও এখন বৈধ পথে টাকা পাঠানোর সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা সহজেই ভর্তি হতে পারছেন।
প্রেস সচিব বলেন, আগে জাপান ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিত। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতায় এখন সেসব দেশ থেকে কর্মী প্রবাহ কমে গেছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে জাপানে নেপালের দেড় লাখ কর্মীর বিপরীতে বাংলাদেশের রয়েছে মাত্র ৩০ হাজার। ভাষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই সংখ্যা তিন লাখে উন্নীত করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রেস সচিব।