অনলাইন সংস্করণ
১৬:৩৩, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ইসরাইলি সেনা ঘাঁটিতে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইয়েমেনি প্রতিরোধ আন্দোলন হুথি আনসারুল্লাহ নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথি।
বৃহস্পতিবার আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে আরব দেশগুলো শুধু বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। এমনকি কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো পদক্ষেপও নেয়নি। এই নিষ্ক্রিয়তা পুরো অঞ্চলের মর্যাদাকে আঘাত করেছে।’
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি যুদ্ধবিমান কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের কার্যালয়ে বিমান হামলা চালায়। এ সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন হামাস নেতারা। ঘটনাটি ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে ‘হত্যা মিশন’ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।
আল-হুথি বলেন, ‘কাতারকে লক্ষ্যবস্তু করা মানে সার্বভৌম একটি দেশকে টার্গেট করা। এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনি আলোচক দলের ওপর হামলা এবং কাতারের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করা হয়েছে।’
তার দাবি, ইসরাইল এই আগ্রাসন চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের নিশ্চয়তা নিয়েই। তিনি সতর্ক করে বলেন, ইসরাইল কেবল পুরো ফিলিস্তিন দখল করতে চায় না, বরং প্রতিবেশী লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান, মিসর ও ইরাকেও অস্থিতিশীলতা ছড়াচ্ছে।
হুথি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক দেশগুলোকে ধ্বংস করা এবং তথাকথিত ‘গ্রেটার ইসরাইল’ প্রকল্প এগিয়ে নেওয়াকে একটি পবিত্র মিশন মনে করছে। এই হুমকিকে অবহেলা করা বিভ্রান্তি ও দুর্বলতার প্রমাণ।’
তিনি মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানান আমেরিকার ভূমিকার আড়ালে থাকা উদ্দেশ্য গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে এবং ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইয়েমেনি হুথি বাহিনী সংহতির অংশ হিসেবে দখলকৃত ভূখণ্ডের বিমানবন্দর, নৌবন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, গাজার যুদ্ধ ও অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।