ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নয়াপল্টনে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ নেতাকর্মীদের ঢল

নয়াপল্টনে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ নেতাকর্মীদের ঢল

বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে রাজধানীর নয়াপল্টনে শুরু হয়েছে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’।

জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ শুরু হয়।

দিনভর ঢাকাসহ সিলেট, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় কারও হাতে দলীয় পতাকা, কারও হাতে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন দেখা যায়। অনেকেই নেচে-গেয়ে স্লোগানে স্লোগানে উজ্জীবিত করেন পুরো পরিবেশ।

সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরেন।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সমাবেশস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দলীয়ভাবেও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে।

আয়োজকরা জানান, এই সমাবেশ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং এটি তরুণদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও সম্পৃক্ত করার একটি নীতিগত প্রয়াস। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রচিন্তায় তরুণদের ভূমিকা ও অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় তারুণ্যের সমাবেশ সফলভাবে আয়োজন করেছি। আজ পল্টনে আমরা দেখছি জনসমুদ্র—এটি একটি রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। সেই আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ গড়ার।”

এর আগে গত ২৬ মে এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের বিস্তারিত তুলে ধরেন আয়োজক নেতারা। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, “চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিলনমেলা আমরা দেখেছি। খুলনা ও বগুড়ায় আমাদের লক্ষ্য শতভাগ পূর্ণ হয়েছে। ঢাকায় সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আমরা আশাবাদী।”

প্রসঙ্গত, তরুণদের মাঝে রাজনৈতিক আগ্রহ জাগাতে মে মাসজুড়ে চারটি বড় বিভাগ ও শহরে আট দিনের সেমিনার ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপির এই তিন সংগঠন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘তারুণ্যের সমাবেশের’ চূড়ান্ত আয়োজন।

তারুণ্যের সমাবেশ,বিএনপি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত