ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানা হবে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান

বাংলাদেশ পুলিশের প্রাচীন, অন্যতম বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, সার্কেল অফিস ও পুলিশের সব কার্যালয়ে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে। রেঞ্জের ৯৮টি থানা হবে অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল। আইনিসেবা ও নিরাপত্তা প্রদানে শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিস্তারিত তুলে ধরছেন- মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন
ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানা হবে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান

ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে জনগণকে সেবাদানের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। প্রতিটি থানা ফাঁড়ি, জেলা পুলিশ সার্কেল অফিসসহ পুলিশের সব কার্যালয়ে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে। রেঞ্জের ৯৮টি থানার সেবা মনিটরিং নিজেই করব। সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। সব থানা হবে জনগণের। সম্প্রতি সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ যে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাচ্ছে, এর পেছনে যার অবদানের কথা না বললেই নয়, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভৌগলিকভাবে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। কারণ রংপুর বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য সকল বিভাগের সঙ্গে ঢাকা বিভাগের সীমানা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন জেলাগুলো দ্বারা পরিবেষ্টিত। বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পেরে নিজেকে সম্মানিতবোধ করছি।

ঢাকা রেঞ্জের অধীনে সকল থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল এসপি অফিস হবে জনগণের উল্লেখ করে পুলিশের ডিআইজি বলেন, জনগণের সেবা করার জন্যই আমরা দায়িত্ব পালন করি। যারা ভুক্তভোগী এবং অসহায়, তাদের কথা আমি সরাসরি শুনতে চাই। তাদের কী রকম আইনগত সহায়তা দেওয়া যায়, সেটি নিজে দায়িত্ব নিয়ে দেখব। থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। অপরাধীর বিরুদ্ধে বা আমার অধীনস্থ পুলিশের বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগ সরাসরি আমাকে জানাতে পারেন। আমার অফিসে নির্ধারিত সময়ে ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলার ৯৮টি থানার মানুষ আমার কাছে আসতে পারবে। রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট অফিসে যদি কাঙ্ক্ষিত সেবা না পায়, তাহলে আমি নিজেই তাদের কথা শুনে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব। ডিআইজি বলেন, আমরা জনগণের নিরাপত্তা দিতে এসেছি। আমার অধীনে এসপি-ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড আপনার এলাকায় চলবে না। বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত- তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পায়, অন্যায়-জুলুম থেকে বাঁচতে পারে- সেটি নিশ্চিত করা হবে।

ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা আপনাদের সেবার জন্য পাশে আছি। একই সঙ্গে আমরাও আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। এসময় অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ, অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স), অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্) মো: সিদ্দিকুর রহমানসহ ঢাকা রেঞ্জের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত