ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেরোবির ওয়াজেদ রিসার্চে দুদকের অভিযান

বেরোবির ওয়াজেদ রিসার্চে দুদকের অভিযান

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অফিসে অনিয়মিত এবং তেমন কোনো কাজ ছাড়াই বসে বসে প্রতি মাসে বেতন পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার রংপুরের দুদক সহকারী পরিচালক মো. হুসাইন শরিফের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এই অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় দুদক রংপুরের সহকারী পরিচালক মো. হুসাইন শরিফের বলেন, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. জলিল মিয়ার ইচ্ছায় ২০০৯ সালে ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর এখানে তিনি কয়েকজন রিসার্চ অফিসার ও ফেলো ভর্তি করান কিন্তু এইটি কোনো অনুমোদন ও নীতিমালা না থাকায় সেই ফেলোরা আর ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেনি। আর এই ইনস্টিটিউটে ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো কাজ ছাড়াই বেতন ভাতা নিচ্ছেন। আমি এই অভিযান চালিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি। আমরা এই রিপোর্টগুলো কমিশনে পাঠাবো সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সূত্র জানায়, ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের গবেষক ভর্তির অনুমোদন না পাওয়ায় বিষয়টি ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে জানাজানি হলে এর পর থেকে তেমন কোনো কাজ নেই এই ইনস্টিটিউটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ইন্সিটিউটে সর্বমোট সাত জন কর্মকর্তা ও একজন কম্পিউটার অপারেটর এবং একজন এমএলএস এস কর্মরত আছেন। সাত জন কর্মকর্তার মধ্যে আছেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফা, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. প্রসন্নজিৎ সরকার, সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিলের মেয়ে রুমানা ফেরদৌসী জলীল, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রফিউল আজম খানের স্ত্রী ডেপুটি রেজিস্ট্রার সিরাজুম মুনিরা, সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার আবু সায়েম, সিনিয়র রিসার্চ অফিসার ও মুখতার ইলাহীর ভাতিজি মেহজাবিন ইলাহী এবং রিসার্চ অফিসার ড. মো. রোকনুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই অফিসারদের গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে গিয়ে দেখা যায়, কোনো কর্মকর্তারই কোনো গবেষণা নেই। গবেষণা বিষয়ক ওয়েবসাইট রিসার্চ গেটে খুঁজে মাত্র ড. প্রসন্নজিৎ সরকার ও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার আবু সায়েম এর দুই তিনটি গবেষণা সংক্রান্ত আর্টিকেল পাওয়া যায়, বাকিদের কোনো গবেষণা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় যোগদানের পর জানতে পারি এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক আমি নিজে। পরে নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্পর্কে খোঁজ খবর নিই। এটির প্রথম দিকে অনুমোদন ছিল না মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে এই ইনস্টিটিউটের অনুমোদন দেয়া হলেও নীতিমালা তৈরি করা হয় নি। আমি নিজ উদ্যোগে নীতিমালা তৈরি করার জন্য কাজ করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত