ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্লান্ট প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে

সিরাজগঞ্জে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্লান্ট প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে

সিরাজগঞ্জের ফুলজোড় ও করতোয়া নদীর তীরে ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ পৌরসভার পরিবারদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্লান্ট (BDIWSSP) প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে ওই দুটি পৌরসভার প্রথম ধাপে ৬ হাজার পরিবার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ পাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের ওই দুটি পৌরসভার নাগরিকদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্লান্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার (বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন) উল্লেখিত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এরমধ্যে উল্লাপাড়া পৌরসভার করতোয়া নদীর তীরে চর ঘাটিনা নামক স্থানে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও রায়গঞ্জ পৌরসভার ফুলজোর নদীর তীরে এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ দুটি জনস্বার্থ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি বিধিমতে নির্বাহী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ দরপত্র আহ্বান করে। এ দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদার ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম থেকে প্রকল্প দুটিতে কাজ শুরু করে।

সংশ্লিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের কাজ করছে এবং প্রকল্প দুটিতে স্যানিটেশন স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ প্রকল্প কাজ তদারকি করছেন এবং বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিও যথানিয়মে এ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করছেন। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে ওই প্লান্ট থেকে পাইপ লাইনযোগে প্রথম ধাপে উল্লাপাড়া পৌরসভার সাড়ে ৪ হাজার ও রায়গঞ্জে ১৫শ’ পরিবারকে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেয়া হবে এবং পরবর্তীতে আরও পানি সরবরাহ লাইন বাড়ানো হবে। ওই দুটি পৌরসভার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পানি সংযোগ লাইন ফি ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা থেকে ৫২০ টাকা। উল্লাপাড়া পৌরসভার সাড়ে ৩ হাজার গ্রাহক ও রায়গঞ্জের ১ হাজার গ্রাহক আবেদন করেছে। এরইমধ্যে এ দুটি প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুকুনুজ্জামান আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, জনস্বার্থে উল্লেখিত টাকা ব্যয়ে এ দুটি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এক প্রশ্নাত্তরে তিনি বলেন, প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে কোনো অনিয়মের আশ্রয় দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগ যথানিয়মে প্রকল্প কাজে তদারকি করছে। ওই দুটি পৌরসভার প্রথম ধাপে ৬ হাজার পরিবার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ পাবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষর কাছে এ দুটি প্রকল্প হস্তান্তর করা হবে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত