ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে এখনও চলছে শোকের মাতম। পরিবারের দাবি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে নেওয়া এবং দাবিকৃত দুইলাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারণেই সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের। পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা এবং পুনর্বাসনেরও দাবি করা হয়।
এদিকে হত্যা মামলা করার সময় পুলিশ সুকৌশলে হত্যা সম্পৃক্ত থাকা তিন আসামিকে বাদ দিয়েছেন বলে দাবি করছেন পরিবার। যদিও তাদের নাম প্রাথমিকভাবে এজাহারে উল্লেখ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কিভাবে ওই তিন আসামির পরিবর্তে অন্য তিনজনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে তা বাদীর জানা নেই।
সোহাগের লাশ গত শুক্রবার রাতে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গত শুক্রবার সকাল ১০টায় জানাযা শেষে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে সোহাগকে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাত্র সাত মাস বয়সে বজ্রপাতে সোহাগের বাবা আইউব আলী মারা যান। এরপর তার মা আলেয়া বেগম জীবিকার তাগিদে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় থেকেই সোহাগ বড় হয়েছেন এবং মেসার্স সোহানা মেটাল নামের একটি দোকান পরিচালনা করতেন পুরান ঢাকার মিডফোর্ড এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে দোকান থেকে প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল একটি সন্ত্রাসী চক্র। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বুধবার বিকেলে সোহাগকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে তারা। এতেও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহাগকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয় বলে জানান স্বজনরা।