সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের আইল্যান্ডের ওপর পেঁপে চাষ করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে এ পেঁপে বাগান চাষ করা হচ্ছে সিরাজগঞ্জ (কাঠেরপুল) পৌর কেন্দ্রীয় রহমতগঞ্জ কবরস্থানের সামনে। এ বাগানে বাম্পার ফলনের আশা করাও হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত সরকার আমলে ওই আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়। জনস্বার্থে এ সড়কের সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কাঠেরপুল থেকে নতুন ভাঙাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিমি ফোরলেন করা হয়। এ ফোরলেন সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে রহমতগঞ্জ কবরস্থান, মসজিদ ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। এ সড়কের আইল্যান্ডের ওপর ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ পেঁপে চাষ করছে। এ বিষয়ে মসজিদ ও কবরস্থানের খাদেম হাজী আব্দুল মালেক (৬৬) বলেন, বিগত সরকার আমলে এ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ সড়কের উল্লেখিত এলাকায় ফোরলেনের (মাঝখানে) আইল্যান্ড দেখতেও সুন্দর এবং এ আইল্যান্ড ফাঁকা পড়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। হঠাৎ ভেবেছিলাম প্রায় ১ কিমি জুড়ে এ আইল্যান্ডের ওপর সবজি চাষ করব। অবশেষে ওই ৩টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি নিয়ে ওই আইল্যান্ডের ওপর পেঁপে বাগান চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় ২ মাস আগে ১ কিমি জুড়ে প্রায় ২ শতাধিক পেঁপের চারা গাছ রোপণ করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তিতে এ পেঁপে বাগান চাষ শুরু করা হয়েছে এবং যথানিয়মে এ বাগান পরিচর্যাও করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করলে এ বাগানে উৎপাদন আরও ভালো হবে। এ বাগান দেখতে বিশেষ করে পড়ন্ত বিকালে নারী পুরুষেরা ভীড় জমায়। এরইমধ্যেই এ বাগানের সবুজ সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে এবং এ চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছি। অল্প দিনের মধ্যেই এ বাগান থেকে পেঁপে উৎপাদন শুরু হবে। এ উৎপাদিত পেঁপে খাবে ওই হাফিজিয়া মাদ্রাসার ৩ শতাধিক ছাত্র। ওই মাদ্রাসর শিক্ষক মা. আমিনুল ইসলাম বলেন- এ সৌন্দর্য পেঁপে বাগান ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানের সবাই সহযোগিতা করছে। আগামীতে এ বাগানে অন্যান্য সবজি চাষের আশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ জা মু আহসান শহিদ সরকার বলেন, ফোরলেনের আইল্যান্ডের ওপর পেঁপে বাগান চাষ প্রশংসনীয়। তবে এ বিষয়ে পরামর্শমূলক সহযোগিতা চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।