
নগরীর কাজীর দেউড়িতে অবস্থিত শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর স্মৃতি বিজড়িত শহিদ জিয়া জাদুঘরকে সংস্কার করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল সোমবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জাদুঘরের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন মেয়র। এ সময় জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের প্রশাসনিক-কাম-নিরাপত্তা অফিসার অর্পিতা দাশ গুপ্তা জাদুঘরের বিভিন্ন সমস্যা মেয়রকে জানান।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, জাদুঘরের বিল্ডিং বেশ পুরানো হওয়ায় ভূমিকম্পে এখানে বেশ কয়েকটা ওয়ালে, বিমে এবং পিলারে ফাটল ধরা দিয়েছে। আমি এরইমধ্যেই গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহা-পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে ভবনটিকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছেন। যেহেতু ১১৩ বছরের পুরনো বিল্ডিং তাই ঐতিহ্যের বিষয়টাকে মাথায় রেখে একই ডিজাইন রেখে ভবনটিকে শক্তিশালী করে কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় সে বিষয়ে কাজ করতে হবে।
‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য যে মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রামের যে সার্ভিস অরিয়েন্টেড অর্গানাইজেশনগুলো আছে সবাইকে জাদুঘরটি সংরক্ষণে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমি মনে করি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষণা যিনি এই চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দিয়েছিলেন এবং ‘উই রিভল্ট’ বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন সেই শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের এই সার্কিট হাউজে শহিদ হয়েছিলেন।
কাজেই উনার এই স্মৃতি বিজড়িত সার্কিট হাউস সংরক্ষণ করার দায়িত্ব আমাদের সবার। এইজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রামের অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোকে আমি বলতে চাই যে আপনারা সবাই এটার জন্য একসঙ্গে কাজ করবেন এবং আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসাবে এটার সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আশা করি অনতিবিলম্বে এটার কাজ শুরু হবে এবং শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এই স্মৃতি জাদুঘরের মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের ইতিহাস জানতে পারবে।’ এ সময় মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং জাদুঘরের কর্মকর্তারা।