কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ভেড়ামারা থানা পুলিশ গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় স্ত্রীর এবং ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর লাশ তাদের নিজ কক্ষ থেকে উদ্ধার করে। তারা হলেন- ফরিদুল ইসলাম (৭৪) ও রাবিয়া খাতুন (৫৫)। রাবিয়া ফরিদুলের তৃতীয় স্ত্রী। উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের চড়দামুকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ফরিদুল ইসলাম রাজশাহীর পুটিয়া থেকে এসে ভেড়ামারার মেয়ে রাবিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় বসবাস করে। ২০২৩ সাল থেকে তারা ভেড়ামারার চরদামুকদিয়া গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিজ ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাবিয়ার ছোট ছেলে শরিফুল তাদের ডাকলে সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পায় ফরিদুল ইসলাম ঘরের চালার বাঁশের সঙ্গে ঝুলছেন। পরে তারা ৯৯৯ দেয় ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তারা রফিকুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রাবিয়া খাতুনকে গলায় কাপড় পেঁচানো, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও মুখমন্ডল রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে লাশ দুটি প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ধারণা করছি স্ত্রীকে আঘাত ও ফাঁস দিয়ে হত্যার পর রফিকুল নিজে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।