ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পদ্মা-মেঘনায় দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

পদ্মা-মেঘনায় দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনাসহ ৬টি নদী অঞ্চল শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল ও ভোলায় দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও নদীতে জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে সব প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার এ সময় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভেরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় জাল ফেলা, মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা টাস্কফোর্স।

দুই মাস নিয়মিত জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে। অন্যদিকে, অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নিবন্ধিত ৪০ হাজার জেলেকে চার কিস্তিতে ১৬০ কেজি করে চাল করে চাল দেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ধরা পড়লে কমপক্ষে এক বছর থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে জানান, জাটকা রক্ষায় জেলে পাড়াগুলোতে প্রচার প্রচারণা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তাদের জন্য নির্ধারিত বিজিএফএর চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের মতই জাটকা রক্ষা অভিযান কঠোর হবে। অভয়াশ্রমে অসাধু জেলেরা যাতে কোনভাবেই নদীতে নামতে না পারে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে যাতে তাদের কিস্তির চাপ না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাটকা সংরক্ষণ চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় নৌ পুলিশের প্রতিটি ইউনিট দিন ও রাতে কাজ করবে। কোনো জেলে আইন অমান্য করে জাটকা নিধন করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে আমরা জেলেদের সঙ্গে কথা বলে সতর্ক করে দিয়েছি। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, চাল বিতরণ নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলেরা যেন সঠিকভাবে চাল পায় সে জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলেদের তালিকায় স্বচ্ছতা আনার কাজও চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। জেলে পুনর্বাসন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ভোলা জেলার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন জেলেকে মাসে ৪০ কেজি করে ২ মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ৭ হাজার ১৬৮ টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত